
রাষ্ট্রের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের কর্মচারী নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে উঠেছে ভয়াবহ নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ। প্রশ্ন ফাঁস, পরীক্ষার সময় কমিয়ে দেওয়া এবং তড়িঘড়ি ফল প্রকাশের মাধ্যমে প্রকৃত মেধাবীদের বঞ্চিত করে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে পছন্দের প্রার্থীদের চাকরি নিশ্চিত করার অভিযোগ করেছেন বঞ্চিত পরীক্ষার্থীরা।
পরীক্ষার বঞ্চিত কয়েকজন প্রার্থীদের অভিযোগের মাত্রা অত্যন্ত গুরুতর। গত ১লা নভেম্বর ২০২৫ তারিখে কম্পিউটার অপারেটর, মেকানিক ও এটেনডেন্ট ফুয়েলিং পদে যে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়, সেটি ছিল কার্যত একটি ‘পাতানো খেলা’। সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর অভিযোগটি হলো, প্রবেশপত্রে পরীক্ষার সময় দেড় ঘণ্টা উল্লেখ থাকলেও, কোনো পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই মাত্র ৪৫ মিনিটের মাথায় জোর করে পরীক্ষার্থীদের খাতা নিয়ে নেওয়া হয়। পরীক্ষার কেন্দ্র চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলের আশেপাশে ফটোকপি দোকানে সকাল থেকেই দশ হাজার টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন ও উত্তর সম্বলিত শিট বিক্রি হয়েছে। হল থেকে বেরিয়ে পরীক্ষার্থীরা নিশ্চিত করেন, ফাঁস হওয়া প্রশ্নের সঙ্গে মূল প্রশ্নের ১০০ শতাংশ মিল ছিল।
এমসিকিউ নয় পরীক্ষার উত্তরপত্র মাত্র ৪ থেকে ৫ ঘণ্টার মধ্যে নিরীক্ষা করে, একই দিনে গভীর রাতে ফলাফল প্রকাশ করা হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এত কম সময়ে শত শত খাতার নির্ভুল মূল্যায়ন করা অসম্ভব। এই দ্রুত ফল প্রকাশই প্রমাণ করে ফলাফল আগে থেকে নির্ধারণ করা ছিল।
বঞ্চিতদের দাবি, এই অনিয়মের মূল কারণ হলো নিয়োগ বাণিজ্য। অভিযোগের তীর সরাসরি ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মফিজুর রহমান এবং নিয়োগ কমিটির সদস্যবৃন্দের দিকে। তাদের যোগসাজশেই বিপুল অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে প্রকৃত দক্ষ শ্রমিকদের বাদ দিয়ে টাকার বিনিময়ে পছন্দের লোকদের চাকরি দেওয়া হয়েছে।
পদ্মা অয়েল কোম্পানির এভিয়েশন বিভাগের এই পদগুলো দেশের রাষ্ট্রীয় ও অর্থনৈতিক স্বার্থে অত্যন্ত সংবেদনশীল। অদক্ষ ও দুর্নীতিগ্রস্ত উপায়ে নিয়োগপ্রাপ্তদের হাতে এমন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে।
বঞ্চিত পরীক্ষার্থীর বলেন, আমরা অবিলম্বে এই প্রহসনের নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল চাই। আমরা কোনোভাবেই পাতানো এই ফল মেনে নেব না। যোগ্যতার ভিত্তিতে এবং স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় পরীক্ষা নিয়ে কর্মচারী নিয়োগ সম্পন্ন করার দাবি জানাচ্ছি। অভিযোগ রয়েছে যারা পরীক্ষায় উওীর্ণ হইয়েছে তাদের কার কাছে বিমানের জালানী সরবাহের কাজের অভিজ্ঞতা নেই।এবং অভিজ্ঞতা সম্পন্ন লোকদের সুযোগ দেওয়া হয়নি।
এই অভিযোগের বিষয়ে পদ্মা অয়েল কোম্পানি কর্তৃপক্ষ সাথে কথা বলে জানাযায় পরিক্ষা বিষয়ে বসা অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে অনিয়ম পা-ওয়া গেলে পরীক্ষা বাতিল হবে
নিজস্ব//নিউজ টুডে 
























