ঢাকা ০৯:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫, ৫ কার্তিক ১৪৩২

রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের উন্নয়নে বাংলাদেশকে এডিবির ৩৩ কোটি ডলারের সহায়তা

রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী এবং তাদের আশ্রয়দাতা কক্সবাজারের স্থানীয় বাসিন্দাদের উন্নয়নে বাংলাদেশকে ৩৩ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার সহায়তা দিচ্ছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (ADB)। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৩ হাজার ৯৮০ কোটি টাকা।

সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ সংক্রান্ত তিনটি পৃথক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ERD) সচিব শাহরিয়ার কাদের সিদ্দীকী এবং ADB-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর হোয়ে ইউন জিয়ং চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এডিবির ঢাকা কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

চুক্তি অনুযায়ী, এডিবির সহায়তা পাওয়া তিনটি প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে:

  1. রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগণের অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প – মোট অর্থায়ন: ৮ কোটি ৬৭ লাখ ডলার (ঋণ: ২.৮১ কোটি, অনুদান: ৫.৮৬ কোটি)।

  2. খুলনা পানি সরবরাহ প্রকল্প – অর্থায়ন: ১৫ কোটি ৪০ লাখ ডলার (ঋণ: ১৫ কোটি, অনুদান: ৪০ লাখ)।

  3. রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা উন্নয়ন প্রকল্প – ঋণ হিসেবে ৯ কোটি ১০ লাখ ডলার।

বিশেষ করে রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগণের উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রকল্পের আওতায় পানি, স্যানিটেশন, স্বাস্থ্য, সড়ক ও সেতু, ড্রেনেজ ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ, খাদ্য নিরাপত্তা এবং দুর্যোগ সহনশীলতা উন্নয়নসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ খাতে কাজ করা হবে।

প্রকল্পের মাধ্যমে কক্সবাজার ও ভাসানচরে বসবাসরত বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিক এবং স্থানীয় জনগণের জন্য পৃথকভাবে তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী সহায়তা নিশ্চিত করা হবে। এর মধ্যে রয়েছে:

  • কক্সবাজারে সৌরবিদ্যুতে চালিত স্ট্রিট লাইট স্থাপন

  • ভাসানচরে পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা পুনর্গঠন ও বায়োগ্যাস উৎপাদনের ব্যবস্থা

  • প্রাকৃতিক ড্রেনেজ খাল পুনঃস্থাপন

  • নারী, শিশু ও প্রতিবন্ধীদের জন্য উন্নত খাদ্য বিতরণ কেন্দ্র নির্মাণ

  • হাতিয়ায় বহুমুখী সাইক্লোন শেল্টার

  • কক্সবাজারের ৯টি উপজেলায় মিনিপাইপড পানি সরবরাহ ব্যবস্থা

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর হোয়ে ইউন জিয়ং বলেন,

“মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠী ও তাদের আশ্রয়দাতা স্থানীয়দের জীবনমান উন্নয়ন এবং সামাজিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় বাংলাদেশকে সহায়তা করতে পেরে আমরা গর্বিত। আমরা চাই শরণার্থী ও স্থানীয় জনগণের মধ্যে সংহতি আরও বাড়ুক।”

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

কালিয়াকৈরে ভুল রক্ত পুশে সিজারের রোগীর মৃত্যু

রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের উন্নয়নে বাংলাদেশকে এডিবির ৩৩ কোটি ডলারের সহায়তা

আপডেট সময় : ০১:২০:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী এবং তাদের আশ্রয়দাতা কক্সবাজারের স্থানীয় বাসিন্দাদের উন্নয়নে বাংলাদেশকে ৩৩ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার সহায়তা দিচ্ছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (ADB)। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৩ হাজার ৯৮০ কোটি টাকা।

সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ সংক্রান্ত তিনটি পৃথক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ERD) সচিব শাহরিয়ার কাদের সিদ্দীকী এবং ADB-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর হোয়ে ইউন জিয়ং চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এডিবির ঢাকা কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

চুক্তি অনুযায়ী, এডিবির সহায়তা পাওয়া তিনটি প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে:

  1. রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগণের অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প – মোট অর্থায়ন: ৮ কোটি ৬৭ লাখ ডলার (ঋণ: ২.৮১ কোটি, অনুদান: ৫.৮৬ কোটি)।

  2. খুলনা পানি সরবরাহ প্রকল্প – অর্থায়ন: ১৫ কোটি ৪০ লাখ ডলার (ঋণ: ১৫ কোটি, অনুদান: ৪০ লাখ)।

  3. রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা উন্নয়ন প্রকল্প – ঋণ হিসেবে ৯ কোটি ১০ লাখ ডলার।

বিশেষ করে রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগণের উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রকল্পের আওতায় পানি, স্যানিটেশন, স্বাস্থ্য, সড়ক ও সেতু, ড্রেনেজ ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ, খাদ্য নিরাপত্তা এবং দুর্যোগ সহনশীলতা উন্নয়নসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ খাতে কাজ করা হবে।

প্রকল্পের মাধ্যমে কক্সবাজার ও ভাসানচরে বসবাসরত বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিক এবং স্থানীয় জনগণের জন্য পৃথকভাবে তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী সহায়তা নিশ্চিত করা হবে। এর মধ্যে রয়েছে:

  • কক্সবাজারে সৌরবিদ্যুতে চালিত স্ট্রিট লাইট স্থাপন

  • ভাসানচরে পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা পুনর্গঠন ও বায়োগ্যাস উৎপাদনের ব্যবস্থা

  • প্রাকৃতিক ড্রেনেজ খাল পুনঃস্থাপন

  • নারী, শিশু ও প্রতিবন্ধীদের জন্য উন্নত খাদ্য বিতরণ কেন্দ্র নির্মাণ

  • হাতিয়ায় বহুমুখী সাইক্লোন শেল্টার

  • কক্সবাজারের ৯টি উপজেলায় মিনিপাইপড পানি সরবরাহ ব্যবস্থা

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর হোয়ে ইউন জিয়ং বলেন,

“মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠী ও তাদের আশ্রয়দাতা স্থানীয়দের জীবনমান উন্নয়ন এবং সামাজিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় বাংলাদেশকে সহায়তা করতে পেরে আমরা গর্বিত। আমরা চাই শরণার্থী ও স্থানীয় জনগণের মধ্যে সংহতি আরও বাড়ুক।”