ঢাকা ০২:৫৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ৫ কার্তিক ১৪৩২

শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ২০% বৃদ্ধির প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয়ে, শাহবাগে বিক্ষোভ

বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি বিবেচনায় নিয়ে বাড়িভাড়া ভাতা ৫ থেকে ২০ শতাংশ বৃদ্ধির একটি প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সরকারের আর্থিক সক্ষমতার আলোকে এই হার নির্ধারণের সুপারিশ করা হয়েছে। বিষয়টি বুধবার (১৫ অক্টোবর) শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

অন্যদিকে, ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া ভাতা, ১,৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা এবং কর্মচারীদের জন্য ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতাসহ তিন দফা দাবিতে বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত শ্রেণিকক্ষে ফিরে না যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

এর আগে, বুধবার দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে চলমান অবস্থান কর্মসূচি থেকে বিক্ষোভকারীরা শাহবাগ অভিমুখে রওনা দেন এবং দুপুর ২টার দিকে শাহবাগ মোড়ে অবরোধ শুরু করেন। এতে ওই এলাকায় যান চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায়।

শিক্ষকদের অভিযোগ, তাদের ন্যায্য ভাতা এখনো নিশ্চিত হয়নি, অথচ জীবনযাত্রার ব্যয় ক্রমেই বাড়ছে। এক শিক্ষক বলেন, ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া, ১৫০০ টাকা মেডিকেল ভাতা ও উৎসব ভাতার প্রজ্ঞাপন না আসা পর্যন্ত আমরা কর্মবিরতি পালন করব।

এর আগে, ৩০ সেপ্টেম্বর সরকার বাড়িভাড়া ভাতা ৫০০ টাকা বাড়ানোর ঘোষণা দেয়, যা ৫ অক্টোবর প্রকাশিত হয়। কিন্তু শিক্ষকরা সেটিকে অপর্যাপ্ত ও অবমাননাকর দাবি করে প্রত্যাখ্যান করেন এবং আন্দোলনের ঘোষণা দেন। পরে ৬ অক্টোবর শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়ে পুনরায় প্রস্তাব পাঠানো হয় যাতে বাড়িভাড়া ভাতা কমপক্ষে ২,০০০ থেকে ৩,০০০ টাকা করার সুপারিশ করা হয়।

বর্তমানে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা জাতীয় বেতন স্কেল অনুযায়ী বেতন পান। তাদের প্রতি মাসে ১,০০০ টাকা বাড়িভাড়া ও ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা দেওয়া হয়, যা আন্দোলনের মুখে বাড়িয়ে বাড়িভাড়ায় আরও ৫০০ টাকা যুক্ত করা হয়েছে। আগে শিক্ষকরা বছরে দুটি উৎসব ভাতা পেতেন মূল বেতনের ২৫ শতাংশ হারে। গত মে মাসে তা বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করা হয়। তবে বর্তমান আন্দোলনে শিক্ষকরা ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতা দাবি করছেন।

শিক্ষকদের এই কর্মবিরতির ফলে সারা দেশের স্কুল-কলেজে পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। সোমবার থেকেই অধিকাংশ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস বন্ধ রয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

কালিয়াকৈরে ভুল রক্ত পুশে সিজারের রোগীর মৃত্যু

শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ২০% বৃদ্ধির প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয়ে, শাহবাগে বিক্ষোভ

আপডেট সময় : ০৪:০০:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি বিবেচনায় নিয়ে বাড়িভাড়া ভাতা ৫ থেকে ২০ শতাংশ বৃদ্ধির একটি প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সরকারের আর্থিক সক্ষমতার আলোকে এই হার নির্ধারণের সুপারিশ করা হয়েছে। বিষয়টি বুধবার (১৫ অক্টোবর) শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

অন্যদিকে, ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া ভাতা, ১,৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা এবং কর্মচারীদের জন্য ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতাসহ তিন দফা দাবিতে বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত শ্রেণিকক্ষে ফিরে না যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

এর আগে, বুধবার দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে চলমান অবস্থান কর্মসূচি থেকে বিক্ষোভকারীরা শাহবাগ অভিমুখে রওনা দেন এবং দুপুর ২টার দিকে শাহবাগ মোড়ে অবরোধ শুরু করেন। এতে ওই এলাকায় যান চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায়।

শিক্ষকদের অভিযোগ, তাদের ন্যায্য ভাতা এখনো নিশ্চিত হয়নি, অথচ জীবনযাত্রার ব্যয় ক্রমেই বাড়ছে। এক শিক্ষক বলেন, ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া, ১৫০০ টাকা মেডিকেল ভাতা ও উৎসব ভাতার প্রজ্ঞাপন না আসা পর্যন্ত আমরা কর্মবিরতি পালন করব।

এর আগে, ৩০ সেপ্টেম্বর সরকার বাড়িভাড়া ভাতা ৫০০ টাকা বাড়ানোর ঘোষণা দেয়, যা ৫ অক্টোবর প্রকাশিত হয়। কিন্তু শিক্ষকরা সেটিকে অপর্যাপ্ত ও অবমাননাকর দাবি করে প্রত্যাখ্যান করেন এবং আন্দোলনের ঘোষণা দেন। পরে ৬ অক্টোবর শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়ে পুনরায় প্রস্তাব পাঠানো হয় যাতে বাড়িভাড়া ভাতা কমপক্ষে ২,০০০ থেকে ৩,০০০ টাকা করার সুপারিশ করা হয়।

বর্তমানে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা জাতীয় বেতন স্কেল অনুযায়ী বেতন পান। তাদের প্রতি মাসে ১,০০০ টাকা বাড়িভাড়া ও ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা দেওয়া হয়, যা আন্দোলনের মুখে বাড়িয়ে বাড়িভাড়ায় আরও ৫০০ টাকা যুক্ত করা হয়েছে। আগে শিক্ষকরা বছরে দুটি উৎসব ভাতা পেতেন মূল বেতনের ২৫ শতাংশ হারে। গত মে মাসে তা বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করা হয়। তবে বর্তমান আন্দোলনে শিক্ষকরা ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতা দাবি করছেন।

শিক্ষকদের এই কর্মবিরতির ফলে সারা দেশের স্কুল-কলেজে পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। সোমবার থেকেই অধিকাংশ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস বন্ধ রয়েছে।