
খাগড়াছড়িতে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় উত্তেজনার প্রেক্ষিতে জুম্ম ছাত্র-জনতার ডাকে ডাকা অনির্দিষ্টকালের সড়ক অবরোধ চতুর্থ দিনের মতো চলমান রয়েছে। এ ঘটনার জেরে পুরো জেলায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
সংগঠনের পক্ষ থেকে সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম এবং খাগড়াছড়ি-ঢাকা সড়কে অবরোধ আংশিক শিথিল করার ঘোষণা দেওয়া হলেও, যান চলাচল এখনো পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। সীমিত আকারে কিছু যানবাহন চলাচল করলেও, জেলার অভ্যন্তরীণ সড়ক যোগাযোগ কার্যত অচল।
এদিকে, রোববার গুইমারায় সংঘটিত সহিংসতায় নিহত তিন যুবকের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে সোমবার রাতে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে রাতেই দাহক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন গুইমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনামুল হক চৌধুরী। তিনি জানান, “আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং টহল জোরদার করা হয়েছে।”
জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে শনিবার থেকে খাগড়াছড়ি পৌরসভা, সদর উপজেলা এবং গুইমারা উপজেলায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো, চেঙ্গী স্কয়ার, শাপলা চত্বর, কলেজ গেট, স্বনির্ভর ও জিরো মাইল এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। এসব এলাকায় চলাচলকারী ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
গত মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে প্রাইভেট পড়া শেষে বাড়ি ফেরার পথে এক কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। রাত ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে একটি ক্ষেত থেকে উদ্ধার করেন স্বজনরা। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা অজ্ঞাত তিনজনকে আসামি করে খাগড়াছড়ি সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।
পরদিন, সেনাবাহিনীর সহায়তায় সন্দেহভাজন যুবক শয়ন শীল (১৯) কে আটক করে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের আদেশে ৬ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।