
চিয়া সিড এই ছোট্ট দানাগুলো এখন স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের কাছে বিশেষ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। সুপারফুড হিসেবে পরিচিত এই বীজে রয়েছে ভিটামিন বি-১, প্রোটিন, ফাইবার, আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের সমৃদ্ধ ভান্ডার।
নিয়মিত চিয়া সিড গ্রহণ করলে ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য হয়, ত্বক হয় উজ্জ্বল, চুল থাকে ঘন ও সুস্থ এবং দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। এজন্য বাংলাদেশসহ বিশ্বের নানা দেশেই এখন প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় চিয়া সিড অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে।
চিয়া সিডে প্রচুর ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, যা চুল ভেঙে পড়া রোধ করে এবং চুলের গোড়া মজবুত করে। এতে থাকা প্রোটিন কেরাটিন তৈরিতে সহায়তা করে, যা চুলের মূল উপাদান। এছাড়া অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চুলকে বাইরের পরিবেশ থেকে সুরক্ষা দেয়। জিংক ও কপার মাথার ত্বক সুস্থ রাখে এবং চুলের প্রাকৃতিক রং বজায় রাখতে সাহায্য করে।
সকালে চিয়া সিড খেলে শরীরের মেটাবলিজম বৃদ্ধি পায়, যার ফলে পুষ্টি দ্রুত শরীরে কার্যকর হয়। প্রাতঃরাশের সঙ্গে যেমন স্মুদি, দই বা ওটসের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে অন্যান্য পুষ্টিগুণও পাওয়া যায়। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, যা হঠাৎ চুল পড়া কমাতে পারে।
সকালের সেরা উপায় লেবু দেওয়া চিয়া ওয়াটার, ফলের সঙ্গে চিয়া পুডিং অথবা অ্যাভোকাডো টোস্টের ওপর টপিং হিসেবে চিয়া সিড ব্যবহার করা।
রাতের সময় শরীর মেরামতের জন্য প্রস্তুত থাকে। এই সময়ে চিয়া সিড খেলে চুলের ফলিকলগুলো অধিক পুষ্টি পায়। এটি হজমে সহায়তা করে এবং পুষ্টি ধীরে ধীরে শোষিত হয়, যা মাথার ত্বককে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে।
রাতের সেরা উপায় দারুচিনি মেশানো গরম দুধ, দইয়ের সঙ্গে চিয়া জেল অথবা হারবাল চায়ের সঙ্গে ভিজিয়ে খাওয়া।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সকাল এবং রাত উভয় সময়েই চিয়া সিড খাওয়ার আলাদা আলাদা সুবিধা রয়েছে। সকালে খেলে সারাদিন চুল সুরক্ষিত থাকে, আর রাতে এটি শরীরের মেরামত প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে। তাই প্রতিদিন সকাল ও রাতে চিয়া সিড খাওয়া সবচেয়ে উপযুক্ত। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।
শুধু চুলের জন্য নয়, ত্বকের জন্যও চিয়া সিড সমান কার্যকর। নিয়মিত ও সঠিক পরিমাণে খেলে এটি ভিতর থেকে চুল ও ত্বককে আরও সুন্দর ও সুস্থ রাখে।