ঢাকা ০৩:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ৫ কার্তিক ১৪৩২

পার্বত্য নাগরিক পরিষদের ৮ দফা দাবি, বান্দরবানে হরতাল

ছবি: সংগৃহীত

পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশন ১৯০০ বাতিলসহ ৮ দফা দাবিতে আগামী ১৩ অক্টোবর (রবিবার) বান্দরবান জেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছে পার্বত্য নাগরিক পরিষদ।

বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সকালে বান্দরবানের হোটেল গ্র্যান্ড ভ্যালি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী মজিবর রহমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল আবসার, ও দপ্তর সম্পাদক মো. জালাল।

সংবাদ সম্মেলনে মজিবর রহমান বলেন, ব্রিটিশ আমলে প্রণীত পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধি-১৯০০ একটি প্রহসন। এই বিধি বাতিল করে সংবিধান অনুযায়ী তিন পার্বত্য জেলায় শাসন ব্যবস্থা চালু করা, ভূমি ক্রয়-বিক্রয়ে রাজার সনদের প্রভাব দূর করা ও ৬১ জেলার মতো রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে স্বাভাবিক ভূমি ব্যবস্থাপনা চালুর দাবি জানাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, বাজার ফান্ড প্লটের লিজ মেয়াদ ৯৯ বছরে উন্নীত, বন্ধ থাকা ব্যাংক ঋণ চালু, পরিবেশবান্ধব ইটভাটা, কলকারখানা ও ইন্ডাস্ট্রি চালুর মাধ্যমে কর্মসংস্থান, এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পূর্বে প্রত্যাহারকৃত ২৪৬টি সেনা ক্যাম্প পুনঃস্থাপন করতে হবে।

সংগঠনটির আরও দাবি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করে চাঁদাবাজি, গুম, খুন ও ধর্ষণ বন্ধ, সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার, এবং শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ব্যবসা ও চাকরিতে সব সম্প্রদায়ের জন্য সমান অধিকার ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

পার্বত্য নাগরিক পরিষদ জানিয়েছে, এসব দাবি পূরণ না হলে পর্যায়ক্রমে তিন পার্বত্য জেলাজুড়ে হরতাল, অবরোধসহ আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

কালিয়াকৈরে ভুল রক্ত পুশে সিজারের রোগীর মৃত্যু

পার্বত্য নাগরিক পরিষদের ৮ দফা দাবি, বান্দরবানে হরতাল

আপডেট সময় : ১১:৩৮:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর ২০২৫

পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশন ১৯০০ বাতিলসহ ৮ দফা দাবিতে আগামী ১৩ অক্টোবর (রবিবার) বান্দরবান জেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছে পার্বত্য নাগরিক পরিষদ।

বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সকালে বান্দরবানের হোটেল গ্র্যান্ড ভ্যালি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী মজিবর রহমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল আবসার, ও দপ্তর সম্পাদক মো. জালাল।

সংবাদ সম্মেলনে মজিবর রহমান বলেন, ব্রিটিশ আমলে প্রণীত পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধি-১৯০০ একটি প্রহসন। এই বিধি বাতিল করে সংবিধান অনুযায়ী তিন পার্বত্য জেলায় শাসন ব্যবস্থা চালু করা, ভূমি ক্রয়-বিক্রয়ে রাজার সনদের প্রভাব দূর করা ও ৬১ জেলার মতো রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে স্বাভাবিক ভূমি ব্যবস্থাপনা চালুর দাবি জানাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, বাজার ফান্ড প্লটের লিজ মেয়াদ ৯৯ বছরে উন্নীত, বন্ধ থাকা ব্যাংক ঋণ চালু, পরিবেশবান্ধব ইটভাটা, কলকারখানা ও ইন্ডাস্ট্রি চালুর মাধ্যমে কর্মসংস্থান, এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পূর্বে প্রত্যাহারকৃত ২৪৬টি সেনা ক্যাম্প পুনঃস্থাপন করতে হবে।

সংগঠনটির আরও দাবি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করে চাঁদাবাজি, গুম, খুন ও ধর্ষণ বন্ধ, সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার, এবং শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ব্যবসা ও চাকরিতে সব সম্প্রদায়ের জন্য সমান অধিকার ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

পার্বত্য নাগরিক পরিষদ জানিয়েছে, এসব দাবি পূরণ না হলে পর্যায়ক্রমে তিন পার্বত্য জেলাজুড়ে হরতাল, অবরোধসহ আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।