ঢাকা ০৬:৫৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ৬ কার্তিক ১৪৩২

উখিয়া ও ঘুমধুম সীমান্তে মিয়ানমারের ভেতরে রাতভর গো/লা/গু’লি, আ’ত’ঙ্কে এলাকাবাসী

মিয়ানমারের অভ্যন্তরে বাংলাদেশের কক্সবাজারের উখিয়া এবং বান্দরবানের ঘুমধুম সীমান্তসংলগ্ন এলাকায় বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) রাতভর তীব্র গো/লা/গু’লির শব্দ শোনা গেছে। এ ঘটনায় সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে চরম আ/ত/ঙ্ক বিরাজ করছে।

স্থানীয়রা জানান, রাত ১১টার পর থেকে শুরু হওয়া গো/লা/গু’লির শব্দ শুক্রবার ভোর পর্যন্ত থেমে থেমে চলতে থাকে। বিশেষ করে উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের রহমতেরবিল, ধামনখালী, থাইংখালী, বালুখালী এবং নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু পশ্চিমপাড়া এলাকায় গুলির তীব্র শব্দে ঘর থেকে বের হওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ে।

রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু জেলার ঢেকুবনিয়া এলাকায় রোহিঙ্গা স’শ’স্ত্র গোষ্ঠী এবং আরাকান আর্মির মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া কিছু ছবিতে দাবি করা হয়েছে, গোলাগুলিতে ১২ নম্বর অস্থায়ী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এক রোহিঙ্গা আহত হয়েছেন। যদিও বিষয়টি এখনও নির্ভরযোগ্য কোনো সূত্র নিশ্চিত করেনি।

পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী তার ফেসবুক পোস্টে লেখেন, “মিয়ানমারের সংঘর্ষে ১২ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাহলে আমরা কি নিরাপদ?”

এদিকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) জানিয়েছে, সংঘর্ষ মিয়ানমারের অভ্যন্তরেই সীমাবদ্ধ এবং সীমান্ত থেকে অনেক দূরে।

উখিয়া ৬৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, “আমরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছি এবং পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। বালুখালী বিওপির কাছাকাছি মিয়ানমারের ভেতরে গু/লির শব্দ পাওয়া গেছে, তবে বাংলাদেশে গু/লি আসার সম্ভাবনা নেই।”

তিনি আরও জানান, “আ/হ/ত রোহিঙ্গা বিষয়ে নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি এবং সংঘর্ষস্থল ১২ নম্বর ক্যাম্প থেকে অনেক দূরে।”

উল্লেখ্য, গত বছরের ডিসেম্বরে আরাকান আর্মি জান্তা সরকারের বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করে সীমান্তবর্তী প্রায় ২৭১ কিলোমিটার এলাকা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার দাবি করে, যার ফলে ওই অঞ্চল আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

কালিয়াকৈরে ভুল রক্ত পুশে সিজারের রোগীর মৃত্যু

উখিয়া ও ঘুমধুম সীমান্তে মিয়ানমারের ভেতরে রাতভর গো/লা/গু’লি, আ’ত’ঙ্কে এলাকাবাসী

আপডেট সময় : ১১:৩৬:৩৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫

মিয়ানমারের অভ্যন্তরে বাংলাদেশের কক্সবাজারের উখিয়া এবং বান্দরবানের ঘুমধুম সীমান্তসংলগ্ন এলাকায় বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) রাতভর তীব্র গো/লা/গু’লির শব্দ শোনা গেছে। এ ঘটনায় সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে চরম আ/ত/ঙ্ক বিরাজ করছে।

স্থানীয়রা জানান, রাত ১১টার পর থেকে শুরু হওয়া গো/লা/গু’লির শব্দ শুক্রবার ভোর পর্যন্ত থেমে থেমে চলতে থাকে। বিশেষ করে উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের রহমতেরবিল, ধামনখালী, থাইংখালী, বালুখালী এবং নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু পশ্চিমপাড়া এলাকায় গুলির তীব্র শব্দে ঘর থেকে বের হওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ে।

রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু জেলার ঢেকুবনিয়া এলাকায় রোহিঙ্গা স’শ’স্ত্র গোষ্ঠী এবং আরাকান আর্মির মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া কিছু ছবিতে দাবি করা হয়েছে, গোলাগুলিতে ১২ নম্বর অস্থায়ী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এক রোহিঙ্গা আহত হয়েছেন। যদিও বিষয়টি এখনও নির্ভরযোগ্য কোনো সূত্র নিশ্চিত করেনি।

পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী তার ফেসবুক পোস্টে লেখেন, “মিয়ানমারের সংঘর্ষে ১২ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাহলে আমরা কি নিরাপদ?”

এদিকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) জানিয়েছে, সংঘর্ষ মিয়ানমারের অভ্যন্তরেই সীমাবদ্ধ এবং সীমান্ত থেকে অনেক দূরে।

উখিয়া ৬৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, “আমরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছি এবং পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। বালুখালী বিওপির কাছাকাছি মিয়ানমারের ভেতরে গু/লির শব্দ পাওয়া গেছে, তবে বাংলাদেশে গু/লি আসার সম্ভাবনা নেই।”

তিনি আরও জানান, “আ/হ/ত রোহিঙ্গা বিষয়ে নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি এবং সংঘর্ষস্থল ১২ নম্বর ক্যাম্প থেকে অনেক দূরে।”

উল্লেখ্য, গত বছরের ডিসেম্বরে আরাকান আর্মি জান্তা সরকারের বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করে সীমান্তবর্তী প্রায় ২৭১ কিলোমিটার এলাকা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার দাবি করে, যার ফলে ওই অঞ্চল আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।