ঢাকা ০৫:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫, ৫ কার্তিক ১৪৩২

আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবসে মেয়েদের অধিকার নিয়ে কথা, তারেক রহমান

ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবসে দেশের প্রতিটি মেয়েকে স্বপ্ন দেখার, শেখার, নেতৃত্ব দেওয়ার এবং মর্যাদার সঙ্গে জীবনযাপন করার পূর্ণ অধিকার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।

শনিবার (১১ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় তিনি বলেন, একজন কন্যাসন্তানের পিতা হিসেবে আমার বিশ্বাস, মেয়েদের ক্ষমতায়ন শুধু নীতির বিষয় নয়, এটি ব্যক্তিগত অনুভূতিরও বিষয়। আমরা চাই একটি এমন বাংলাদেশ যেখানে প্রতিটি মেয়ে তার পরিবারের প্রত্যাশা মতো স্বাধীনতা, সুযোগ এবং নিরাপত্তা পাবে।

তারেক রহমান আরও বলেন, বিএনপি সরকারের সময় দেশের নারী উন্নয়নে বিশেষ অগ্রগতি হয়েছে। সুযোগ পেলে আমরা এ পথ অব্যাহত রেখে আরও উন্নয়ন নিশ্চিত করব। তিনি উল্লেখ করেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান তৈরি পোশাক শিল্পের বিকাশের মাধ্যমে লাখ লাখ নারীকেই কর্মসংস্থানের সুযোগ দিয়েছেন। এছাড়াও, ‘মহিলাবিষয়ক মন্ত্রণালয়’ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে নারীদের জীবনমান উন্নয়নে উদ্যোগ নেওয়া হয়।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে মেয়েদের শিক্ষা একটি মৌলিক অধিকার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত মেয়েদের জন্য বিনামূল্যে শিক্ষা প্রদান করা হয়। ‘শিক্ষার বিনিময়ে খাদ্য’ এবং ‘শিক্ষার জন্য নগদ সহায়তা’ কর্মসূচির মাধ্যমে লাখ লাখ মেয়ে স্কুলে শিক্ষালাভ করেছে, যা পরিবারের ভাগ্য বদলে দিয়েছে এবং ক্ষমতায়িত নারী সমাজ গড়ে তুলেছে।

তারেক রহমান আরও জানান, ‘ফিমেল সেকেন্ডারি স্কুল অ্যাসিস্ট্যান্স প্রজেক্ট’-এর মাধ্যমে মাধ্যমিক স্তরে প্রথমবারের মতো লিঙ্গ সমতা প্রতিষ্ঠিত হয় এবং শিশুবিবাহের হার কমে আসে। এই প্রকল্পটি বিশ্বব্যাপী মেয়েদের শিক্ষা ও ক্ষমতায়নের মডেল হিসেবে স্বীকৃত হয়েছে।

তিনি বলেন, সুশাসন যখন কন্যাশিশুর মর্যাদা রক্ষা করে এবং তাদের ভবিষ্যতে বিনিয়োগ করে, তখন অসম্ভব কাজও সম্ভব হয়।

বিএনপি’র ভবিষ্যৎ নীতিমালায় মেয়েদের সম্মান ও ক্ষমতায়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে তারেক রহমান কয়েক দফা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন:

১। নারী গৃহপ্রধানদের নামে ‘ফ্যামিলি কার্ড’ প্রণয়ন করে পরিবারগুলোর আসল স্তম্ভকে সহায়তা ও প্রণোদনা দেওয়া হবে।
২। নারী উদ্যোক্তাদের জন্য এসএমই ঋণ, ব্যবসায়িক প্রশিক্ষণ ও আর্থিক সহায়তা নিশ্চিত করা হবে, কারণ অর্থনৈতিক স্বাধীনতায় আপস নয়।
৩। মেয়েদের জন্য একাডেমিক ও কারিগরি শিক্ষার সুযোগ বাড়ানো হবে, যাতে তারা দক্ষতা অর্জন করে নিজের ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে পারে।
৪। নীতিনির্ধারণে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়িয়ে রাজনীতি ও প্রশাসনে তাদের আসন নিশ্চিত করা হবে, কারণ নিরাপদ জাতি গঠনে এটি অপরিহার্য।
৫। মেয়েদের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে, নির্ভয়ে চলাফেরা এবং ভয়মুক্ত জীবনযাপন নিশ্চিত করতে হবে।
৬। স্বাস্থ্য, গ্রামীণ উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে নারীদের এবং কন্যাশিশুদের জন্য বিশেষ মনোযোগ দেয়া হবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

চট্টগ্রামের বেটার্মিনাল এলাকা থেকে প্রকৌশল শিক্ষার্থীর মৃতদেহ উদ্ধার

আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবসে মেয়েদের অধিকার নিয়ে কথা, তারেক রহমান

আপডেট সময় : ০৭:০৮:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবসে দেশের প্রতিটি মেয়েকে স্বপ্ন দেখার, শেখার, নেতৃত্ব দেওয়ার এবং মর্যাদার সঙ্গে জীবনযাপন করার পূর্ণ অধিকার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।

শনিবার (১১ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় তিনি বলেন, একজন কন্যাসন্তানের পিতা হিসেবে আমার বিশ্বাস, মেয়েদের ক্ষমতায়ন শুধু নীতির বিষয় নয়, এটি ব্যক্তিগত অনুভূতিরও বিষয়। আমরা চাই একটি এমন বাংলাদেশ যেখানে প্রতিটি মেয়ে তার পরিবারের প্রত্যাশা মতো স্বাধীনতা, সুযোগ এবং নিরাপত্তা পাবে।

তারেক রহমান আরও বলেন, বিএনপি সরকারের সময় দেশের নারী উন্নয়নে বিশেষ অগ্রগতি হয়েছে। সুযোগ পেলে আমরা এ পথ অব্যাহত রেখে আরও উন্নয়ন নিশ্চিত করব। তিনি উল্লেখ করেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান তৈরি পোশাক শিল্পের বিকাশের মাধ্যমে লাখ লাখ নারীকেই কর্মসংস্থানের সুযোগ দিয়েছেন। এছাড়াও, ‘মহিলাবিষয়ক মন্ত্রণালয়’ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে নারীদের জীবনমান উন্নয়নে উদ্যোগ নেওয়া হয়।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে মেয়েদের শিক্ষা একটি মৌলিক অধিকার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত মেয়েদের জন্য বিনামূল্যে শিক্ষা প্রদান করা হয়। ‘শিক্ষার বিনিময়ে খাদ্য’ এবং ‘শিক্ষার জন্য নগদ সহায়তা’ কর্মসূচির মাধ্যমে লাখ লাখ মেয়ে স্কুলে শিক্ষালাভ করেছে, যা পরিবারের ভাগ্য বদলে দিয়েছে এবং ক্ষমতায়িত নারী সমাজ গড়ে তুলেছে।

তারেক রহমান আরও জানান, ‘ফিমেল সেকেন্ডারি স্কুল অ্যাসিস্ট্যান্স প্রজেক্ট’-এর মাধ্যমে মাধ্যমিক স্তরে প্রথমবারের মতো লিঙ্গ সমতা প্রতিষ্ঠিত হয় এবং শিশুবিবাহের হার কমে আসে। এই প্রকল্পটি বিশ্বব্যাপী মেয়েদের শিক্ষা ও ক্ষমতায়নের মডেল হিসেবে স্বীকৃত হয়েছে।

তিনি বলেন, সুশাসন যখন কন্যাশিশুর মর্যাদা রক্ষা করে এবং তাদের ভবিষ্যতে বিনিয়োগ করে, তখন অসম্ভব কাজও সম্ভব হয়।

বিএনপি’র ভবিষ্যৎ নীতিমালায় মেয়েদের সম্মান ও ক্ষমতায়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে তারেক রহমান কয়েক দফা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন:

১। নারী গৃহপ্রধানদের নামে ‘ফ্যামিলি কার্ড’ প্রণয়ন করে পরিবারগুলোর আসল স্তম্ভকে সহায়তা ও প্রণোদনা দেওয়া হবে।
২। নারী উদ্যোক্তাদের জন্য এসএমই ঋণ, ব্যবসায়িক প্রশিক্ষণ ও আর্থিক সহায়তা নিশ্চিত করা হবে, কারণ অর্থনৈতিক স্বাধীনতায় আপস নয়।
৩। মেয়েদের জন্য একাডেমিক ও কারিগরি শিক্ষার সুযোগ বাড়ানো হবে, যাতে তারা দক্ষতা অর্জন করে নিজের ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে পারে।
৪। নীতিনির্ধারণে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়িয়ে রাজনীতি ও প্রশাসনে তাদের আসন নিশ্চিত করা হবে, কারণ নিরাপদ জাতি গঠনে এটি অপরিহার্য।
৫। মেয়েদের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে, নির্ভয়ে চলাফেরা এবং ভয়মুক্ত জীবনযাপন নিশ্চিত করতে হবে।
৬। স্বাস্থ্য, গ্রামীণ উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে নারীদের এবং কন্যাশিশুদের জন্য বিশেষ মনোযোগ দেয়া হবে।