ঢাকা ১২:২০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ৫ কার্তিক ১৪৩২

খুলনায় শিক্ষক ছাড়াই কলেজ, এইচএসসিতে সবাই ফেল

খুলনার তেরখাদা উপজেলার আদর্শ শিক্ষা নিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজে শিক্ষক না থাকায় এইচএসসি পরীক্ষায় বিপর্যয় ঘটেছে। কলেজটি থেকে ২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ৮ শিক্ষার্থীর কেউই পাস করতে পারেনি।

প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে কলেজটিতে ১৩ জন শিক্ষক কর্মরত থাকলেও সবাই শুধুমাত্র স্কুল শাখার সঙ্গে যুক্ত। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির জন্য নেই একজনও স্বতন্ত্র কলেজ শিক্ষক। স্কুল পর্যায়ের শিক্ষকরাই কলেজের পাঠদান কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।

১৯৬৬ সালে স্কুল পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে যাত্রা শুরু করেছিল আদর্শ শিক্ষা নিকেতন। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমতি পাওয়ার পর প্রতিষ্ঠানটি কলেজ পর্যায়ে উন্নীত হয়। তবে কলেজ পর্যায়ে এখনো শিক্ষক নিয়োগ হয়নি।

২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয় ১৩ শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ১১ জন ফরম পূরণ করলেও পরীক্ষায় অংশ নেয় ৮ জন। ফলাফলে দেখা যায়, কেউই উত্তীর্ণ হতে পারেনি।

প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক উদ্ধব কুমার মোহান্ত বলেন, এখানে যারা পড়াশোনা করে, তারা বেশিরভাগই ভ্যান চালানো কিংবা কৃষিকাজে যুক্ত। কেউই নিয়মিত কলেজে আসে না। তদুপরি, কলেজ শাখার জন্য আলাদা কোনো শিক্ষক নেই। স্কুলের শিক্ষকরা পড়ালেখার দায়িত্ব নিলেও শিক্ষার্থীদের অনিয়মিত উপস্থিতি ও অনীহার কারণে ফলাফল এমন হয়েছে।

উপজেলা সদর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরের সাচিয়াদাহ ইউনিয়নের এই কলেজটিতে অবকাঠামো ভালো হলেও শিক্ষার্থী ভর্তির হার এবং আগ্রহ উভয়ই কম। ফলে শিক্ষক না থাকা ও শিক্ষার্থীদের অসচেতনতায় শিক্ষা কার্যক্রম কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

কালিয়াকৈরে ভুল রক্ত পুশে সিজারের রোগীর মৃত্যু

খুলনায় শিক্ষক ছাড়াই কলেজ, এইচএসসিতে সবাই ফেল

আপডেট সময় : ০৫:৫৪:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫

খুলনার তেরখাদা উপজেলার আদর্শ শিক্ষা নিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজে শিক্ষক না থাকায় এইচএসসি পরীক্ষায় বিপর্যয় ঘটেছে। কলেজটি থেকে ২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ৮ শিক্ষার্থীর কেউই পাস করতে পারেনি।

প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে কলেজটিতে ১৩ জন শিক্ষক কর্মরত থাকলেও সবাই শুধুমাত্র স্কুল শাখার সঙ্গে যুক্ত। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির জন্য নেই একজনও স্বতন্ত্র কলেজ শিক্ষক। স্কুল পর্যায়ের শিক্ষকরাই কলেজের পাঠদান কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।

১৯৬৬ সালে স্কুল পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে যাত্রা শুরু করেছিল আদর্শ শিক্ষা নিকেতন। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমতি পাওয়ার পর প্রতিষ্ঠানটি কলেজ পর্যায়ে উন্নীত হয়। তবে কলেজ পর্যায়ে এখনো শিক্ষক নিয়োগ হয়নি।

২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয় ১৩ শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ১১ জন ফরম পূরণ করলেও পরীক্ষায় অংশ নেয় ৮ জন। ফলাফলে দেখা যায়, কেউই উত্তীর্ণ হতে পারেনি।

প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক উদ্ধব কুমার মোহান্ত বলেন, এখানে যারা পড়াশোনা করে, তারা বেশিরভাগই ভ্যান চালানো কিংবা কৃষিকাজে যুক্ত। কেউই নিয়মিত কলেজে আসে না। তদুপরি, কলেজ শাখার জন্য আলাদা কোনো শিক্ষক নেই। স্কুলের শিক্ষকরা পড়ালেখার দায়িত্ব নিলেও শিক্ষার্থীদের অনিয়মিত উপস্থিতি ও অনীহার কারণে ফলাফল এমন হয়েছে।

উপজেলা সদর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরের সাচিয়াদাহ ইউনিয়নের এই কলেজটিতে অবকাঠামো ভালো হলেও শিক্ষার্থী ভর্তির হার এবং আগ্রহ উভয়ই কম। ফলে শিক্ষক না থাকা ও শিক্ষার্থীদের অসচেতনতায় শিক্ষা কার্যক্রম কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে।