ঢাকা ১২:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ৫ কার্তিক ১৪৩২

বড়পুকুরিয়ায় টারবাইন বিকল, তৃতীয় ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ

ছবি : সংগৃহীত

ময়মনসিংহের পার্বতীপুর উপজেলার বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র‑এর তৃতীয় ইউনিট (২৭৫ মেগাওয়াট) শক্তি উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে কারণ গভর্নর ভালভ ও স্টিম সেন্সরের চারটি টারবাইন নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা ৩৫ মিনিটে উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ হয় গেল।

কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বক্কর সিদ্দিক জানিয়েছেন, এক নম্বর ইউনিট (১২৫ মেগাওয়াট) থেকে বর্তমানে মাত্র ৫০ মেগাওয়াট জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা যাচ্ছে এবং সেটি চালু রাখতে দৈনিক প্রায় ৮০০ টন কয়লা প্রয়োজন। তবে বন্ধ হয়ে যাওয়া তৃতীয় ইউনিট থেকে প্রতিদিন প্রায় ১৬০‑১৬৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ হতো ও তার জন্য দৈনিক প্রয়োজন ছিল প্রায় ১ হাজার ৬০০ টন কয়লা।

তৃতীয় ইউনিট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় উক্ত অঞ্চলের  পার্বতীপুরসহ উত্তরাঞ্চলের আটটি জেলায়  লোডশেডিং শুরু হয়েছে। কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিট (১২৫ মেগাওয়াট) ইতিমধ্যে নভেম্বর ২০২০ থেকে সংস্কার কাজের কারণে বন্ধ রয়েছে। তিনটি ইউনিট একসঙ্গে চালু রাখতে প্রতিদিন প্রায় ৫ হাজার ২০০ টন কয়লার প্রয়োজন হয়। বর্তমান মজুত কয়লা প্রায় ৪ লাখ ৪০ হাজার টন এবং দিনাজপুর কয়লাখনিতে প্রতিদিন সরবরাহ হচ্ছে মাত্র ৩ হাজার টন কয়লা।

রোববার রাত ৮টায় প্রধান প্রকৌশলী বলেন, তৃতীয় ইউনিট মেরামতের কাজ চলছে, আশা করা হচ্ছে এক সপ্তাহের মধ্যে এটি পুনরায় উৎপাদনে ফিরবে। পাশাপাশি, দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি‑পার্বতীপুর জোনের ডিজিএম মো. জহুরুল হক জানিয়েছেন, শনিবার (১৮ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত পল্লী বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে কারণ সাবস্টেশন মেরামত চলবে। পার্বতীপুর উপজেলার পল্লীবিদ্যুতের গ্রাহকসংখ্যা প্রায় ৮০ হাজার এবং চাহিদা ছিল ১৭ মেগাওয়াট; তবে সরবরাহ হচ্ছে মাত্র ৮‑৯ মেগাওয়াট।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

কালিয়াকৈরে ভুল রক্ত পুশে সিজারের রোগীর মৃত্যু

বড়পুকুরিয়ায় টারবাইন বিকল, তৃতীয় ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ

আপডেট সময় : ১২:২৩:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫

ময়মনসিংহের পার্বতীপুর উপজেলার বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র‑এর তৃতীয় ইউনিট (২৭৫ মেগাওয়াট) শক্তি উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে কারণ গভর্নর ভালভ ও স্টিম সেন্সরের চারটি টারবাইন নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা ৩৫ মিনিটে উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ হয় গেল।

কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বক্কর সিদ্দিক জানিয়েছেন, এক নম্বর ইউনিট (১২৫ মেগাওয়াট) থেকে বর্তমানে মাত্র ৫০ মেগাওয়াট জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা যাচ্ছে এবং সেটি চালু রাখতে দৈনিক প্রায় ৮০০ টন কয়লা প্রয়োজন। তবে বন্ধ হয়ে যাওয়া তৃতীয় ইউনিট থেকে প্রতিদিন প্রায় ১৬০‑১৬৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ হতো ও তার জন্য দৈনিক প্রয়োজন ছিল প্রায় ১ হাজার ৬০০ টন কয়লা।

তৃতীয় ইউনিট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় উক্ত অঞ্চলের  পার্বতীপুরসহ উত্তরাঞ্চলের আটটি জেলায়  লোডশেডিং শুরু হয়েছে। কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিট (১২৫ মেগাওয়াট) ইতিমধ্যে নভেম্বর ২০২০ থেকে সংস্কার কাজের কারণে বন্ধ রয়েছে। তিনটি ইউনিট একসঙ্গে চালু রাখতে প্রতিদিন প্রায় ৫ হাজার ২০০ টন কয়লার প্রয়োজন হয়। বর্তমান মজুত কয়লা প্রায় ৪ লাখ ৪০ হাজার টন এবং দিনাজপুর কয়লাখনিতে প্রতিদিন সরবরাহ হচ্ছে মাত্র ৩ হাজার টন কয়লা।

রোববার রাত ৮টায় প্রধান প্রকৌশলী বলেন, তৃতীয় ইউনিট মেরামতের কাজ চলছে, আশা করা হচ্ছে এক সপ্তাহের মধ্যে এটি পুনরায় উৎপাদনে ফিরবে। পাশাপাশি, দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি‑পার্বতীপুর জোনের ডিজিএম মো. জহুরুল হক জানিয়েছেন, শনিবার (১৮ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত পল্লী বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে কারণ সাবস্টেশন মেরামত চলবে। পার্বতীপুর উপজেলার পল্লীবিদ্যুতের গ্রাহকসংখ্যা প্রায় ৮০ হাজার এবং চাহিদা ছিল ১৭ মেগাওয়াট; তবে সরবরাহ হচ্ছে মাত্র ৮‑৯ মেগাওয়াট।