ঢাকা ১১:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫, ৫ কার্তিক ১৪৩২

আইয়ুব বাচ্চুর সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

ছবি : সংগৃহীত

গিটার আর কণ্ঠের জাদুতে কোটি ভক্তের হৃদয়ে চিরস্থায়ী জায়গা করে নিয়েছিলেন আইয়ুব বাচ্চু। তাঁর সুর আর সঙ্গীত আজও যেন বয়ে বেড়ায় ব্যান্ডসংগীতপ্রেমীদের রক্তে। ঠিক সাত বছর আগে, ২০১৮ সালের ১৮ অক্টোবর সকালের এক সংবাদে স্তব্ধ হয়ে যায় ভক্তরা চলে গেছেন আইয়ুব বাচ্চু, থেমে গেছে তাঁর সুরের পথচলা।

ওই দিন হাসপাতালের সামনে থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, এমনকি চট্টগ্রামে তাঁর চিরনিদ্রার ঠিকানায়ও ছুটে গিয়েছিলেন হাজারো ভক্ত। আজ তাঁর সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী। এই দিনটিকে ঘিরে আইয়ুব বাচ্চুর স্বপ্ন ও স্মৃতিকে ধরে রাখার কথা বলছেন তাঁর পরিবার ও আইয়ুব বাচ্চু ফাউন্ডেশন।

আইয়ুব বাচ্চু ফাউন্ডেশন যাত্রা শুরু করে ২০২০ সালে। তবে এটি আনুষ্ঠানিকভাবে নিবন্ধিত হয়েছে ২০২৫ সালের ৯ জুলাই। আইয়ুব বাচ্চু ডট ফাউন্ডেশন নামে ফাউন্ডেশনটির নিজস্ব ওয়েবসাইটও রয়েছে। সংগঠনটির চেয়ারম্যান ও আইয়ুব বাচ্চুর স্ত্রী ফেরদৌস আক্তার বলেন,বাচ্চুর স্বপ্ন পূরণ করতে পারলেই নিজেকে সার্থক মনে করব। চেষ্টা করছি। তবে এই স্বপ্ন পূরণে পৃষ্ঠপোষকতা খুবই দরকার।

আজ শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকার মগবাজারের একটি কনভেনশন সেন্টারে আইয়ুব বাচ্চু ফাউন্ডেশনের আয়োজনে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে উপস্থিত থাকবেন ব্যান্ডসংগীতে তাঁর সহযাত্রীরা এবং পরিবারের সদস্যরা। ফাউন্ডেশনের লক্ষ্য আইয়ুব বাচ্চুর ব্যবহৃত গিটার দিয়ে একটি মিউজিক্যাল ক্যাফে গড়ে তোলা, যেখানে নতুন প্রজন্মের সংগীতশিল্পীরা অনুষ্ঠান আয়োজন ও অনুপ্রেরণা নিতে পারবেন।

আইয়ুব বাচ্চুর সংগ্রহে ছিল ৫০টির মতো বিখ্যাত গিটার অস্ট্রিয়া থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নানা ব্র্যান্ডের। তাঁর প্রিয় ফেন্ডার স্ট্র্যাটোকাস্টার কিংবা আইভানেজের জেম ৭৭ এখন তাঁর বাসায় সযত্নে রাখা। স্ত্রী ফেরদৌস আক্তার সেই স্মৃতিগুলো আগলে রেখেছেন। বছর দুয়েক আগে, এই গিটারগুলোর কিছু অংশ ঢাকায় ও চট্টগ্রামে প্রদর্শনীতে রাখা হয়।

আইয়ুব বাচ্চুর স্মৃতিকে ধরে রাখতে তাঁর পরিবার ও ফাউন্ডেশনের স্বপ্ন, এই সব গিটার ও মিউজিক উপকরণ নিয়ে গড়ে তোলা হবে একটি পূর্ণাঙ্গ আইয়ুব বাচ্চু মিউজিয়াম। যেখানে থাকবে এবি কিচেনের সরঞ্জাম, ব্যবহৃত পোশাক, ক্যাপ, টি-শার্টসহ আরও অনেক স্মারক।

এ যেন শুধু একজন শিল্পীর প্রতি শ্রদ্ধা নয়, তাঁর সৃষ্টিকে আগামী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়ার এক অঙ্গীকার।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

কালিয়াকৈরে ভুল রক্ত পুশে সিজারের রোগীর মৃত্যু

আইয়ুব বাচ্চুর সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

আপডেট সময় : ০১:৩৫:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫

গিটার আর কণ্ঠের জাদুতে কোটি ভক্তের হৃদয়ে চিরস্থায়ী জায়গা করে নিয়েছিলেন আইয়ুব বাচ্চু। তাঁর সুর আর সঙ্গীত আজও যেন বয়ে বেড়ায় ব্যান্ডসংগীতপ্রেমীদের রক্তে। ঠিক সাত বছর আগে, ২০১৮ সালের ১৮ অক্টোবর সকালের এক সংবাদে স্তব্ধ হয়ে যায় ভক্তরা চলে গেছেন আইয়ুব বাচ্চু, থেমে গেছে তাঁর সুরের পথচলা।

ওই দিন হাসপাতালের সামনে থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, এমনকি চট্টগ্রামে তাঁর চিরনিদ্রার ঠিকানায়ও ছুটে গিয়েছিলেন হাজারো ভক্ত। আজ তাঁর সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী। এই দিনটিকে ঘিরে আইয়ুব বাচ্চুর স্বপ্ন ও স্মৃতিকে ধরে রাখার কথা বলছেন তাঁর পরিবার ও আইয়ুব বাচ্চু ফাউন্ডেশন।

আইয়ুব বাচ্চু ফাউন্ডেশন যাত্রা শুরু করে ২০২০ সালে। তবে এটি আনুষ্ঠানিকভাবে নিবন্ধিত হয়েছে ২০২৫ সালের ৯ জুলাই। আইয়ুব বাচ্চু ডট ফাউন্ডেশন নামে ফাউন্ডেশনটির নিজস্ব ওয়েবসাইটও রয়েছে। সংগঠনটির চেয়ারম্যান ও আইয়ুব বাচ্চুর স্ত্রী ফেরদৌস আক্তার বলেন,বাচ্চুর স্বপ্ন পূরণ করতে পারলেই নিজেকে সার্থক মনে করব। চেষ্টা করছি। তবে এই স্বপ্ন পূরণে পৃষ্ঠপোষকতা খুবই দরকার।

আজ শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকার মগবাজারের একটি কনভেনশন সেন্টারে আইয়ুব বাচ্চু ফাউন্ডেশনের আয়োজনে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে উপস্থিত থাকবেন ব্যান্ডসংগীতে তাঁর সহযাত্রীরা এবং পরিবারের সদস্যরা। ফাউন্ডেশনের লক্ষ্য আইয়ুব বাচ্চুর ব্যবহৃত গিটার দিয়ে একটি মিউজিক্যাল ক্যাফে গড়ে তোলা, যেখানে নতুন প্রজন্মের সংগীতশিল্পীরা অনুষ্ঠান আয়োজন ও অনুপ্রেরণা নিতে পারবেন।

আইয়ুব বাচ্চুর সংগ্রহে ছিল ৫০টির মতো বিখ্যাত গিটার অস্ট্রিয়া থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নানা ব্র্যান্ডের। তাঁর প্রিয় ফেন্ডার স্ট্র্যাটোকাস্টার কিংবা আইভানেজের জেম ৭৭ এখন তাঁর বাসায় সযত্নে রাখা। স্ত্রী ফেরদৌস আক্তার সেই স্মৃতিগুলো আগলে রেখেছেন। বছর দুয়েক আগে, এই গিটারগুলোর কিছু অংশ ঢাকায় ও চট্টগ্রামে প্রদর্শনীতে রাখা হয়।

আইয়ুব বাচ্চুর স্মৃতিকে ধরে রাখতে তাঁর পরিবার ও ফাউন্ডেশনের স্বপ্ন, এই সব গিটার ও মিউজিক উপকরণ নিয়ে গড়ে তোলা হবে একটি পূর্ণাঙ্গ আইয়ুব বাচ্চু মিউজিয়াম। যেখানে থাকবে এবি কিচেনের সরঞ্জাম, ব্যবহৃত পোশাক, ক্যাপ, টি-শার্টসহ আরও অনেক স্মারক।

এ যেন শুধু একজন শিল্পীর প্রতি শ্রদ্ধা নয়, তাঁর সৃষ্টিকে আগামী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়ার এক অঙ্গীকার।