ঢাকা ০৫:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫, ৫ কার্তিক ১৪৩২

সন্দ্বীপে ওমানে নিহত সাত প্রবাসীর দাফন সম্পন্ন

ছবি : সংগৃহীত

ওমানে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার সাত প্রবাসীর জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে। রোববার (১৯ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে নিজ নিজ গ্রামের বাড়িতে জানাজা শেষে তাদের দাফন করা হয়।

এর আগে, শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টার পর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে করে তাদের মরদেহ চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়। সেখান থেকে স্বজনরা মরদেহ গ্রহণ করে রোববার সকালে স্পিডবোটযোগে সন্দ্বীপে নিয়ে যান।

প্রথমে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী, পূর্ব সন্দ্বীপ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সম্মিলিত জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও মরদেহ গোসলসংক্রান্ত জটিলতায় তা সম্ভব হয়নি। পরে মরদেহ নিজ নিজ বাড়িতে নিয়ে গিয়ে গোসল শেষে আলাদা আলাদা জানাজা ও দাফন সম্পন্ন করা হয়।

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক প্রকৌশলী বেলায়েত হোসেন জানান, সকাল সাড়ে ৭টায় কুমিরা ঘাট থেকে মরদেহগুলো স্পিডবোটে করে সন্দ্বীপে আনা হয়। পূর্বে একটি বড় জানাজার আয়োজন থাকলেও গোসল না হওয়ায় সেগুলো স্ব স্ব বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

দুর্ঘটনায় নিহত সাতজন হলেন আমিন মাঝি, মোশাররফ হোসেন রনি, মো. বাবলু, শাহাবুদ্দিন, মো. রকি, মো. আরজু, মো. জুয়েল

তারা সবাই ওমানের দুখুম সিদরা উপকূলে মাছ ধরার কাজে নিয়োজিত ছিলেন। নিহত সবাই চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার বাসিন্দা এবং আমিন মাঝির মালিকানাধীন একটি নৌকায় কাজ করতেন।

সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মংচিংনু মারমা বলেন,সরকারের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারের প্রতি সহানুভূতি জানানো হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী তারা প্রাপ্য সব কিছুই পাবেন।

গত ৮ অক্টোবর, ওমান সময় দুপুর ৩টা ২০ মিনিটে দুখুম সিদরা এলাকায় সাগরে মাছ ধরার কাজ শেষে ফেরার সময় তারা সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হন। ঘটনাস্থলেই তারা নিহত হন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

চট্টগ্রামের বেটার্মিনাল এলাকা থেকে প্রকৌশল শিক্ষার্থীর মৃতদেহ উদ্ধার

সন্দ্বীপে ওমানে নিহত সাত প্রবাসীর দাফন সম্পন্ন

আপডেট সময় : ০২:৫৭:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

ওমানে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার সাত প্রবাসীর জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে। রোববার (১৯ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে নিজ নিজ গ্রামের বাড়িতে জানাজা শেষে তাদের দাফন করা হয়।

এর আগে, শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টার পর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে করে তাদের মরদেহ চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়। সেখান থেকে স্বজনরা মরদেহ গ্রহণ করে রোববার সকালে স্পিডবোটযোগে সন্দ্বীপে নিয়ে যান।

প্রথমে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী, পূর্ব সন্দ্বীপ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সম্মিলিত জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও মরদেহ গোসলসংক্রান্ত জটিলতায় তা সম্ভব হয়নি। পরে মরদেহ নিজ নিজ বাড়িতে নিয়ে গিয়ে গোসল শেষে আলাদা আলাদা জানাজা ও দাফন সম্পন্ন করা হয়।

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক প্রকৌশলী বেলায়েত হোসেন জানান, সকাল সাড়ে ৭টায় কুমিরা ঘাট থেকে মরদেহগুলো স্পিডবোটে করে সন্দ্বীপে আনা হয়। পূর্বে একটি বড় জানাজার আয়োজন থাকলেও গোসল না হওয়ায় সেগুলো স্ব স্ব বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

দুর্ঘটনায় নিহত সাতজন হলেন আমিন মাঝি, মোশাররফ হোসেন রনি, মো. বাবলু, শাহাবুদ্দিন, মো. রকি, মো. আরজু, মো. জুয়েল

তারা সবাই ওমানের দুখুম সিদরা উপকূলে মাছ ধরার কাজে নিয়োজিত ছিলেন। নিহত সবাই চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার বাসিন্দা এবং আমিন মাঝির মালিকানাধীন একটি নৌকায় কাজ করতেন।

সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মংচিংনু মারমা বলেন,সরকারের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারের প্রতি সহানুভূতি জানানো হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী তারা প্রাপ্য সব কিছুই পাবেন।

গত ৮ অক্টোবর, ওমান সময় দুপুর ৩টা ২০ মিনিটে দুখুম সিদরা এলাকায় সাগরে মাছ ধরার কাজ শেষে ফেরার সময় তারা সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হন। ঘটনাস্থলেই তারা নিহত হন।