ঢাকা ০২:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ১০ কার্তিক ১৪৩২

চট্টগ্রামে যানজট কমাতে মনোরেল প্রকল্প, চার রুটে যাচাই শুরু

ছবি : সংগৃহীত

চট্টগ্রাম নগরীতে যানজট কমানো এবং গণপরিবহন ব্যবস্থাকে আরও আধুনিক ও কার্যকর করার জন্য মনোরেল চালুর উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে।

শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) চসিক রেস্টহাউসে অনুষ্ঠিত এক সমন্বয় সভায় চারটি সম্ভাব্য রুট নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। সভার সভাপতিত্ব করেন চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। এতে উপস্থিত ছিলেন বৃহত্তর চট্টগ্রাম ইকোনমিক ফোরামের প্রেসিডেন্ট আমীর হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী, মনোরেল প্রকল্পের প্রধান সমন্বয়ক ফয়সাল রহমান, ওরাসকম কনস্ট্রাকশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর কাউসার আহমেদ চৌধুরী, প্রকল্প পরামর্শক কামরান আনোয়ার নাগিভ এবং চসিকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবু সাদাত মো. তৈয়ব।

সভায় জানানো হয়, মনোরেল চালুর জন্য চারটি সম্ভাব্য রুট যাচাই করা হচ্ছে: কালুরঘাট থেকে বিমানবন্দর (বহদ্দারহাট, চকবাজার, লালখানবাজার, দেওয়ানহাট ও পতেঙ্গা হয়ে, মোট ২৬.৫ কিমি), সিটি গেট থেকে শহীদ বশিরুজ্জামান চত্বর (এ কে খান, নিমতলী, সদরঘাট ও ফিরিঙ্গিবাজার হয়ে, মোট ১৩.৫ কিমি), অক্সিজেন থেকে ফিরিঙ্গিবাজার (মুরাদপুর, পাঁচলাইশ, আন্দরকিল্লা ও কোতোয়ালি হয়ে, মোট ১৪.৫ কিমি), সিটি গেট থেকে নিমতলা (পোর্ট কানেক্টিং রোড ও আগ্রাবাদ এক্সেস হয়ে, মোট ১০.৯ কিমি)

প্রকল্পটি ওরাসকম কনস্ট্রাকশন পিপিওটি পদ্ধতিতে বাস্তবায়ন করবে। আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছে ৩০ হাজার কোটি টাকা। প্রতিষ্ঠানটি প্রাথমিকভাবে ২০ থেকে ২৫ বছর নিজের ব্যবস্থাপনায় মনোরেল পরিচালনা করবে এবং পরে চসিকের কাছে হস্তান্তর করবে।

মনোরেল প্রকল্পের জন্য প্রয়োজন হবে প্রায় ৫০ একর জমি স্টেশন, স্টোরেজ ও রক্ষণাবেক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে। প্রতিদিন প্রকল্প পরিচালনায় ৩০–৩৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ খরচ হবে। সম্ভাব্যতা যাচাই সম্পন্ন হতে সময় লাগবে ৭–৮ মাস এবং নির্মাণকাজ শেষ করতে আনুমানিক ৩–৪ বছর সময় লাগবে।

মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, “চট্টগ্রামের জনসংখ্যা এবং যাতায়াত সমস্যা বিবেচনায় আধুনিক গণপরিবহন চালুর সময় এসেছে। মনোরেল চালু হলে নগরবাসী পাবেন নিরাপদ, সময়নিষ্ঠ ও আরামদায়ক যাতায়াত। এতে কর্মঘণ্টা সাশ্রয় হবে, যানজট কমবে এবং নগর অর্থনীতি আরও গতিশীল হবে।”

তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রামকে স্মার্ট ও পরিবেশবান্ধব শহর হিসেবে গড়ে তুলতে চসিক মনোরেল প্রকল্প বাস্তবায়নে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

গ্রেপ্তারের সময় শিশুকে চড়, তেজগাঁও এডিসি ঘটনার তদন্তের ঘোষণা

চট্টগ্রামে যানজট কমাতে মনোরেল প্রকল্প, চার রুটে যাচাই শুরু

আপডেট সময় : ০৭:০৪:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫

চট্টগ্রাম নগরীতে যানজট কমানো এবং গণপরিবহন ব্যবস্থাকে আরও আধুনিক ও কার্যকর করার জন্য মনোরেল চালুর উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে।

শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) চসিক রেস্টহাউসে অনুষ্ঠিত এক সমন্বয় সভায় চারটি সম্ভাব্য রুট নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। সভার সভাপতিত্ব করেন চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। এতে উপস্থিত ছিলেন বৃহত্তর চট্টগ্রাম ইকোনমিক ফোরামের প্রেসিডেন্ট আমীর হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী, মনোরেল প্রকল্পের প্রধান সমন্বয়ক ফয়সাল রহমান, ওরাসকম কনস্ট্রাকশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর কাউসার আহমেদ চৌধুরী, প্রকল্প পরামর্শক কামরান আনোয়ার নাগিভ এবং চসিকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবু সাদাত মো. তৈয়ব।

সভায় জানানো হয়, মনোরেল চালুর জন্য চারটি সম্ভাব্য রুট যাচাই করা হচ্ছে: কালুরঘাট থেকে বিমানবন্দর (বহদ্দারহাট, চকবাজার, লালখানবাজার, দেওয়ানহাট ও পতেঙ্গা হয়ে, মোট ২৬.৫ কিমি), সিটি গেট থেকে শহীদ বশিরুজ্জামান চত্বর (এ কে খান, নিমতলী, সদরঘাট ও ফিরিঙ্গিবাজার হয়ে, মোট ১৩.৫ কিমি), অক্সিজেন থেকে ফিরিঙ্গিবাজার (মুরাদপুর, পাঁচলাইশ, আন্দরকিল্লা ও কোতোয়ালি হয়ে, মোট ১৪.৫ কিমি), সিটি গেট থেকে নিমতলা (পোর্ট কানেক্টিং রোড ও আগ্রাবাদ এক্সেস হয়ে, মোট ১০.৯ কিমি)

প্রকল্পটি ওরাসকম কনস্ট্রাকশন পিপিওটি পদ্ধতিতে বাস্তবায়ন করবে। আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছে ৩০ হাজার কোটি টাকা। প্রতিষ্ঠানটি প্রাথমিকভাবে ২০ থেকে ২৫ বছর নিজের ব্যবস্থাপনায় মনোরেল পরিচালনা করবে এবং পরে চসিকের কাছে হস্তান্তর করবে।

মনোরেল প্রকল্পের জন্য প্রয়োজন হবে প্রায় ৫০ একর জমি স্টেশন, স্টোরেজ ও রক্ষণাবেক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে। প্রতিদিন প্রকল্প পরিচালনায় ৩০–৩৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ খরচ হবে। সম্ভাব্যতা যাচাই সম্পন্ন হতে সময় লাগবে ৭–৮ মাস এবং নির্মাণকাজ শেষ করতে আনুমানিক ৩–৪ বছর সময় লাগবে।

মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, “চট্টগ্রামের জনসংখ্যা এবং যাতায়াত সমস্যা বিবেচনায় আধুনিক গণপরিবহন চালুর সময় এসেছে। মনোরেল চালু হলে নগরবাসী পাবেন নিরাপদ, সময়নিষ্ঠ ও আরামদায়ক যাতায়াত। এতে কর্মঘণ্টা সাশ্রয় হবে, যানজট কমবে এবং নগর অর্থনীতি আরও গতিশীল হবে।”

তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রামকে স্মার্ট ও পরিবেশবান্ধব শহর হিসেবে গড়ে তুলতে চসিক মনোরেল প্রকল্প বাস্তবায়নে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করছে।