ঢাকা ১২:৪৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৫, ১৭ কার্তিক ১৪৩২

আজ বিশ্ব স্ট্রোক দিবস: F.A.S.T. নিয়মে জীবন বাঁচান

ছবি : সংগৃহীত

প্রতি বছর ২৯ অক্টোবর পালিত হয় ওয়ার্ল্ড স্ট্রোক ডে, যা বিশ্বব্যাপী স্ট্রোক সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য আয়োজন করা হয়। এই দিনটি আয়োজন করে ওয়ার্ল্ড স্ট্রোক অর্গানাইজেশন, যার মূল উদ্দেশ্য হলো স্ট্রোকের ঝুঁকি ও প্রতিরোধ, সময়মতো চিকিৎসার গুরুত্ব সম্পর্কে মানুষকে অবহিত করা।


স্ট্রোক ঘটে যখন মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহ হঠাৎ বন্ধ বা কমে যায়, ফলে মস্তিষ্কের কোষে পর্যাপ্ত অক্সিজেন পৌঁছায় না। কয়েক মিনিটের মধ্যেই কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে শুরু করে। প্রধানত দুটি ধরনের স্ট্রোক দেখা যায়:

  • ইসকেমিক স্ট্রোক: রক্তনালিতে ব্লক বা জমাট বাঁধা রক্তের কারণে হয়।

  • হেমোরেজিক স্ট্রোক: মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে হয়।

স্ট্রোকের লক্ষণ দ্রুত শনাক্ত করলে জীবন বাঁচানো সম্ভব। F.A.S.T. নিয়মটি মনে রাখুন:

  • F – Face (মুখ): মুখের এক পাশে ঝুলন দেখা দিচ্ছে কি?

  • A – Arms (হাত): দুই হাত উঁচু করলে এক হাত নিচে পড়ছে কি?

  • S – Speech (কথা): কথা বঝা যাচ্ছে না বা জটিল হচ্ছে কি?

  • T – Time (সময়): এসব লক্ষণ দেখলে দেরি না করে জরুরি সেবা বা ডাক্তারকে অবিলম্বে জানাতে হবে।

প্রায় ৮০% স্ট্রোক প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত ব্যায়াম, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, ধূমপান এড়িয়ে চলা, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষা এগুলো স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।

আজকের বিশ্ব স্ট্রোক ডেতে পরিবার, বন্ধু ও পরিচিতদের স্ট্রোকের লক্ষণ ও প্রতিরোধের তথ্য জানান। সচেতনতা ছড়িয়ে দিন, দ্রুত চিকিৎসার গুরুত্ব বোঝান এবং স্ট্রোকে আক্রান্তদের পাশে দাঁড়ান।

সচেতনতা বাঁচায় জীবন একটি সঠিক পদক্ষেপই কারও জীবন রক্ষা করতে পারে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

মদিনা ইসলামি মিশন বাংলাদেশের নবনির্বাচিত কেন্দ্রীয় পরিষদ ও আজীবন সদস্যদের অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন

আজ বিশ্ব স্ট্রোক দিবস: F.A.S.T. নিয়মে জীবন বাঁচান

আপডেট সময় : ০২:৫৩:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫

প্রতি বছর ২৯ অক্টোবর পালিত হয় ওয়ার্ল্ড স্ট্রোক ডে, যা বিশ্বব্যাপী স্ট্রোক সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য আয়োজন করা হয়। এই দিনটি আয়োজন করে ওয়ার্ল্ড স্ট্রোক অর্গানাইজেশন, যার মূল উদ্দেশ্য হলো স্ট্রোকের ঝুঁকি ও প্রতিরোধ, সময়মতো চিকিৎসার গুরুত্ব সম্পর্কে মানুষকে অবহিত করা।


স্ট্রোক ঘটে যখন মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহ হঠাৎ বন্ধ বা কমে যায়, ফলে মস্তিষ্কের কোষে পর্যাপ্ত অক্সিজেন পৌঁছায় না। কয়েক মিনিটের মধ্যেই কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে শুরু করে। প্রধানত দুটি ধরনের স্ট্রোক দেখা যায়:

  • ইসকেমিক স্ট্রোক: রক্তনালিতে ব্লক বা জমাট বাঁধা রক্তের কারণে হয়।

  • হেমোরেজিক স্ট্রোক: মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে হয়।

স্ট্রোকের লক্ষণ দ্রুত শনাক্ত করলে জীবন বাঁচানো সম্ভব। F.A.S.T. নিয়মটি মনে রাখুন:

  • F – Face (মুখ): মুখের এক পাশে ঝুলন দেখা দিচ্ছে কি?

  • A – Arms (হাত): দুই হাত উঁচু করলে এক হাত নিচে পড়ছে কি?

  • S – Speech (কথা): কথা বঝা যাচ্ছে না বা জটিল হচ্ছে কি?

  • T – Time (সময়): এসব লক্ষণ দেখলে দেরি না করে জরুরি সেবা বা ডাক্তারকে অবিলম্বে জানাতে হবে।

প্রায় ৮০% স্ট্রোক প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত ব্যায়াম, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, ধূমপান এড়িয়ে চলা, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষা এগুলো স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।

আজকের বিশ্ব স্ট্রোক ডেতে পরিবার, বন্ধু ও পরিচিতদের স্ট্রোকের লক্ষণ ও প্রতিরোধের তথ্য জানান। সচেতনতা ছড়িয়ে দিন, দ্রুত চিকিৎসার গুরুত্ব বোঝান এবং স্ট্রোকে আক্রান্তদের পাশে দাঁড়ান।

সচেতনতা বাঁচায় জীবন একটি সঠিক পদক্ষেপই কারও জীবন রক্ষা করতে পারে।