ঢাকা ০৫:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫, ১৭ কার্তিক ১৪৩২

ধান কাটা শুরুর আগেই বৃষ্টিতে ক্ষতির মুখে জয়পুরহাটের কৃষকরা

অসময়ের প্রবল বৃষ্টিতে জয়পুরহাটের কৃষকরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছেন। টানা বৃষ্টিতে জেলার আমন ধান, আগাম আলু, পেঁয়াজ ও বিভিন্ন সবজি ফসল ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

মাঠে পাকা ধান কাটার অপেক্ষায় ছিলেন কৃষকরা। কেউ কেউ ইতিমধ্যে ধান কেটে জমিতে আগাম জাতের আলু ও পেঁয়াজ বীজ রোপণও করেছেন। কিন্তু হঠাৎ বৃষ্টিতে পাকা ধান নুয়ে পড়ে পানিতে ভাসছে। কৃষকরা বলছেন, দ্রুত ধান ঘরে তুলতে না পারলে ফসল পচে যাবে এবং বড় ক্ষতির মুখে পড়বেন তারা।

জয়পুরহাটে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৪ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যা থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিতে জেলার বিভিন্ন এলাকায় ফসলের মাঠ পানিতে তলিয়ে গেছে।

সদর উপজেলার ধারকি গ্রামের কৃষক মশিউর রহমান জানান, তিনি ২ বিঘা জমিতে আমন ধান আবাদ করেছেন। ধান কাটার জন্য শ্রমিকও ঠিক করেছিলেন। কিন্তু প্রবল বৃষ্টিতে জমির ধানগাছ হেলে পড়ে এখন পানিতে ভাসছে। দ্রুত না কাটলে ধান নষ্ট হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন তিনি।

একই গ্রামের কৃষক আব্দুল বাকী জানান, তিনি ৪৫ হাজার টাকা খরচ করে ২ বিঘা জমিতে আগাম আলু বীজ রোপণ করেছিলেন। বৃষ্টির কারণে জমিতে পানি জমে বীজ পচে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

ক্ষেতলাল উপজেলার মহব্বতপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল মজিদ জানান, দেড় বিঘা জমিতে তিনি পেঁয়াজ বীজ রোপণ করেছেন। বৃষ্টিতে জমিতে পানি জমে বীজ পচে যাওয়ার আশঙ্কায় আছেন তিনি।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর জয়পুরহাটে ৭০ হাজার ৯৫ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ হয়েছে। অধিদপ্তরের উপপরিচালক সাদিকুল ইসলাম বলেন, অসময়ের বৃষ্টিতে কিছু ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মাঠপর্যায়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণের কাজ চলছে, শিগগিরই তা জানা যাবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ন্যু কাম্পে আতঙ্ক: পেদ্রির চোট আবারও বার্সার দুশ্চিন্তা

ধান কাটা শুরুর আগেই বৃষ্টিতে ক্ষতির মুখে জয়পুরহাটের কৃষকরা

আপডেট সময় : ০২:০৫:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ নভেম্বর ২০২৫

অসময়ের প্রবল বৃষ্টিতে জয়পুরহাটের কৃষকরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছেন। টানা বৃষ্টিতে জেলার আমন ধান, আগাম আলু, পেঁয়াজ ও বিভিন্ন সবজি ফসল ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

মাঠে পাকা ধান কাটার অপেক্ষায় ছিলেন কৃষকরা। কেউ কেউ ইতিমধ্যে ধান কেটে জমিতে আগাম জাতের আলু ও পেঁয়াজ বীজ রোপণও করেছেন। কিন্তু হঠাৎ বৃষ্টিতে পাকা ধান নুয়ে পড়ে পানিতে ভাসছে। কৃষকরা বলছেন, দ্রুত ধান ঘরে তুলতে না পারলে ফসল পচে যাবে এবং বড় ক্ষতির মুখে পড়বেন তারা।

জয়পুরহাটে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৪ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যা থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিতে জেলার বিভিন্ন এলাকায় ফসলের মাঠ পানিতে তলিয়ে গেছে।

সদর উপজেলার ধারকি গ্রামের কৃষক মশিউর রহমান জানান, তিনি ২ বিঘা জমিতে আমন ধান আবাদ করেছেন। ধান কাটার জন্য শ্রমিকও ঠিক করেছিলেন। কিন্তু প্রবল বৃষ্টিতে জমির ধানগাছ হেলে পড়ে এখন পানিতে ভাসছে। দ্রুত না কাটলে ধান নষ্ট হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন তিনি।

একই গ্রামের কৃষক আব্দুল বাকী জানান, তিনি ৪৫ হাজার টাকা খরচ করে ২ বিঘা জমিতে আগাম আলু বীজ রোপণ করেছিলেন। বৃষ্টির কারণে জমিতে পানি জমে বীজ পচে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

ক্ষেতলাল উপজেলার মহব্বতপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল মজিদ জানান, দেড় বিঘা জমিতে তিনি পেঁয়াজ বীজ রোপণ করেছেন। বৃষ্টিতে জমিতে পানি জমে বীজ পচে যাওয়ার আশঙ্কায় আছেন তিনি।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর জয়পুরহাটে ৭০ হাজার ৯৫ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ হয়েছে। অধিদপ্তরের উপপরিচালক সাদিকুল ইসলাম বলেন, অসময়ের বৃষ্টিতে কিছু ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মাঠপর্যায়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণের কাজ চলছে, শিগগিরই তা জানা যাবে।