
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জোবায়েদ হোসেন হত্যাকাণ্ডে সন্দেহভাজন হিসেবে তার এক ছাত্রীকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
রবিবার রাতে পুরান ঢাকার আরমানিটোলার পানির পাম্প গলির একটি ভবনের তিনতলা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ভবনটির প্রতিটি তলায় রক্তের দাগ দেখা যায়, যা থেকে ধারণা করা হচ্ছে গলায় ছুরিকাঘাতের পর জীবন বাঁচাতে জোবায়েদ দৌড়ে ওপরের দিকে ছুটে যান।
ঘটনার সময়কার সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, দুই যুবক দ্রুত দৌড়ে গলি থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে। একজনের পরনে ছিল কালো টি-শার্ট, অন্যজনের গোলাপি; তবে ভিডিওতে কারও চেহারা স্পষ্টভাবে ধরা পড়েনি।
জানা গেছে, জোবায়েদ ওই ভবনেই টিউশন করাতে যেতেন। এই হত্যার ঘটনায় তার এক ছাত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাত ১২টার দিকে বংশাল থানায় নেয় পুলিশ।
খবর ছড়িয়ে পড়লে, শিক্ষার্থী ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা আরমানিটোলার সেই ভবনের সামনে বিক্ষোভ করেন। পরে তারা অবস্থান নেন বংশাল থানার সামনেও।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বেলা ১২টার মধ্যে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তারের আলটিমেটাম দেন। টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে প্রতিবাদ জানান এবং দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে থানাঘেরাওসহ কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন।
নিহত জোবায়েদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। পাশাপাশি কুমিল্লা জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির সভাপতির দায়িত্বও পালন করছিলেন।
এই হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার দাবি করেছেন তার বন্ধু, সহপাঠী, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং ছাত্রদল। সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছেন নিহতের স্বজনরাও।