ঢাকা ০১:১৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫, ৬ কার্তিক ১৪৩২

খাগড়াছড়িতে ‘অবরোধ’ কর্মসূচি প্রত্যাহার, প্রশাসনের আশ্বাসে সিদ্ধান্ত

খাগড়াছড়িতে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত ঘোষিত ‘সড়ক অবরোধ’ কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছে জুম্ম ছাত্র-জনতা।
শনিবার (৪ অক্টোবর) সকালে এক প্রেস বিবৃতিতে এ তথ্য জানায় সংগঠনটির মিডিয়া সেল।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘শহীদদের ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী পুণ্যকর্ম সম্পাদন, আহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি মানবিক সহায়তা প্রদানের প্রয়োজন এবং প্রশাসনের আশ্বাসকে আংশিক বিবেচনায় নিয়ে আমরা অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, খাগড়াছড়ি ও গুইমারায় সংঘটিত সাম্প্রতিক সহিংসতা ও হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে গত ১ অক্টোবর জেলা প্রশাসনের সঙ্গে দ্বিতীয় দফা আলোচনা হয়। এতে অংশ নেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, এনএসআই ও ডিজিএফআইয়ের জেলা প্রধান এবং এএসপি (তদন্ত)।

আলোচনায় জুম্ম ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে উপস্থাপন করা হয় ৮ দফা দাবি, যার মধ্যে ছিল ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার, দোষীদের শাস্তি এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সহায়তা
প্রশাসনের পক্ষ থেকে এসব দাবির বিষয়ে বাস্তবায়নের আশ্বাস দেওয়া হয়। একই সঙ্গে শহীদ পরিবারের প্রতি ৫০ হাজার টাকা নগদ সহায়তার প্রতিশ্রুতিও জানানো হয়।

ঘটনার পেছনের প্রেক্ষাপট

গত ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে খাগড়াছড়িতে এক মারমা কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। এই ঘটনার প্রতিবাদে জুম্ম ছাত্র-জনতা সড়ক অবরোধ কর্মসূচি আহ্বান করে।

তবে পরবর্তীতে তিন সদস্যের চিকিৎসক দলের মেডিকেল রিপোর্টে ধর্ষণের কোনো আলামত মেলেনি।
তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে সহিংসতা। প্রাণ হারান ৩ জন এবং আহত হন অর্ধশতাধিক

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সৌম্য-রিশাদের লড়াইয়ে ২১০ পেরোল বাংলাদেশ

খাগড়াছড়িতে ‘অবরোধ’ কর্মসূচি প্রত্যাহার, প্রশাসনের আশ্বাসে সিদ্ধান্ত

আপডেট সময় : ১০:৪৯:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ অক্টোবর ২০২৫

খাগড়াছড়িতে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত ঘোষিত ‘সড়ক অবরোধ’ কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছে জুম্ম ছাত্র-জনতা।
শনিবার (৪ অক্টোবর) সকালে এক প্রেস বিবৃতিতে এ তথ্য জানায় সংগঠনটির মিডিয়া সেল।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘শহীদদের ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী পুণ্যকর্ম সম্পাদন, আহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি মানবিক সহায়তা প্রদানের প্রয়োজন এবং প্রশাসনের আশ্বাসকে আংশিক বিবেচনায় নিয়ে আমরা অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, খাগড়াছড়ি ও গুইমারায় সংঘটিত সাম্প্রতিক সহিংসতা ও হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে গত ১ অক্টোবর জেলা প্রশাসনের সঙ্গে দ্বিতীয় দফা আলোচনা হয়। এতে অংশ নেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, এনএসআই ও ডিজিএফআইয়ের জেলা প্রধান এবং এএসপি (তদন্ত)।

আলোচনায় জুম্ম ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে উপস্থাপন করা হয় ৮ দফা দাবি, যার মধ্যে ছিল ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার, দোষীদের শাস্তি এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সহায়তা
প্রশাসনের পক্ষ থেকে এসব দাবির বিষয়ে বাস্তবায়নের আশ্বাস দেওয়া হয়। একই সঙ্গে শহীদ পরিবারের প্রতি ৫০ হাজার টাকা নগদ সহায়তার প্রতিশ্রুতিও জানানো হয়।

ঘটনার পেছনের প্রেক্ষাপট

গত ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে খাগড়াছড়িতে এক মারমা কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। এই ঘটনার প্রতিবাদে জুম্ম ছাত্র-জনতা সড়ক অবরোধ কর্মসূচি আহ্বান করে।

তবে পরবর্তীতে তিন সদস্যের চিকিৎসক দলের মেডিকেল রিপোর্টে ধর্ষণের কোনো আলামত মেলেনি।
তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে সহিংসতা। প্রাণ হারান ৩ জন এবং আহত হন অর্ধশতাধিক