ঢাকা ০৩:০৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫, ৬ কার্তিক ১৪৩২

ইলিশের প্রজনন রক্ষায় ৪ থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত মাছ ধরা নিষিদ্ধ, টহলে নৌবাহিনী

জাতীয় সম্পদ ইলিশের প্রজনন নির্বিঘ্ন করতে আজ ০৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর ২০২৫ পর্যন্ত ২২ দিনব্যাপী দেশজুড়ে শুরু হয়েছে “মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২৫”। এই সময়ে ইলিশ আহরণ, পরিবহন, বিক্রি ও মজুত সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। পাশাপাশি সামুদ্রিক মৎস্য আহরণ এলাকাতেও সব ধরনের মাছ ধরা বন্ধ থাকবে।

সরকারের এই কঠোর নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে সমুদ্র, উপকূল ও অভ্যন্তরীণ নদ-নদীতে বাংলাদেশ নৌবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। “ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার”-এর আওতায় নৌবাহিনীর ১৭টি যুদ্ধজাহাজ দেশের ৯টি গুরুত্বপূর্ণ জেলায় টহল দিচ্ছে।

নৌবাহিনীর জাহাজগুলো চাঁদপুর, কক্সবাজার, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, বরগুনা, বরিশাল ও পটুয়াখালী এলাকায় বিশেষভাবে টহল দিচ্ছে। এছাড়াও, গভীর সমুদ্রে অবৈধ মৎস্য শিকারীদের অনুপ্রবেশ বন্ধে যুদ্ধজাহাজ ও অত্যাধুনিক মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফট (MPA) দ্বারা সার্বক্ষণিক নজরদারি করা হচ্ছে।

নৌবাহিনী স্থানীয় প্রশাসন, কোস্টগার্ড, নৌ পুলিশ ও মৎস্য কর্তৃপক্ষের সাথে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করছে। অভিযানকালে অবৈধ মৎস্য শিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রয়োগ এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধির কার্যক্রম চালানো হবে।

জাতীয় মাছ ইলিশের প্রাচুর্য ও মৎস্য সম্পদের সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে নৌ সদস্যরা দেশের জলসীমা ও অভ্যন্তরীণ নদ-নদীতে ইলিশের নিরাপদ প্রজননের পরিবেশ বজায় রাখতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

 

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সৌম্য-রিশাদের লড়াইয়ে ২১০ পেরোল বাংলাদেশ

ইলিশের প্রজনন রক্ষায় ৪ থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত মাছ ধরা নিষিদ্ধ, টহলে নৌবাহিনী

আপডেট সময় : ০৫:৪৮:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ অক্টোবর ২০২৫

জাতীয় সম্পদ ইলিশের প্রজনন নির্বিঘ্ন করতে আজ ০৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর ২০২৫ পর্যন্ত ২২ দিনব্যাপী দেশজুড়ে শুরু হয়েছে “মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২৫”। এই সময়ে ইলিশ আহরণ, পরিবহন, বিক্রি ও মজুত সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। পাশাপাশি সামুদ্রিক মৎস্য আহরণ এলাকাতেও সব ধরনের মাছ ধরা বন্ধ থাকবে।

সরকারের এই কঠোর নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে সমুদ্র, উপকূল ও অভ্যন্তরীণ নদ-নদীতে বাংলাদেশ নৌবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। “ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার”-এর আওতায় নৌবাহিনীর ১৭টি যুদ্ধজাহাজ দেশের ৯টি গুরুত্বপূর্ণ জেলায় টহল দিচ্ছে।

নৌবাহিনীর জাহাজগুলো চাঁদপুর, কক্সবাজার, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, বরগুনা, বরিশাল ও পটুয়াখালী এলাকায় বিশেষভাবে টহল দিচ্ছে। এছাড়াও, গভীর সমুদ্রে অবৈধ মৎস্য শিকারীদের অনুপ্রবেশ বন্ধে যুদ্ধজাহাজ ও অত্যাধুনিক মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফট (MPA) দ্বারা সার্বক্ষণিক নজরদারি করা হচ্ছে।

নৌবাহিনী স্থানীয় প্রশাসন, কোস্টগার্ড, নৌ পুলিশ ও মৎস্য কর্তৃপক্ষের সাথে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করছে। অভিযানকালে অবৈধ মৎস্য শিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রয়োগ এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধির কার্যক্রম চালানো হবে।

জাতীয় মাছ ইলিশের প্রাচুর্য ও মৎস্য সম্পদের সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে নৌ সদস্যরা দেশের জলসীমা ও অভ্যন্তরীণ নদ-নদীতে ইলিশের নিরাপদ প্রজননের পরিবেশ বজায় রাখতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।