ঢাকা ০৩:৫৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ৫ কার্তিক ১৪৩২

‘জুতা পরে মসজিদে, সোনাক্ষীকে ঘিরে বিতর্ক

ছবি : সংগৃহীত

আবুধাবির পবিত্র শেখ জায়েদ গ্র্যান্ড মসজিদের শান্ত পরিবেশে হারিয়ে গিয়েছিলেন বলিউড অভিনেত্রী সোনাক্ষী সিনহা। সাদা পোশাক ও মাথায় ওড়না পরা সোনাক্ষীর সেই ছবি এবং ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক মাধ্যমে। যদিও প্রথমে ছবিগুলো ঘিরে প্রশংসার জোয়ার উঠলেও, অল্প সময়ের মধ্যেই তা বিতর্কের কেন্দ্রে পরিণত হয়, কারণ হিসেবে উঠে আসে মসজিদের ভেতরে জুতা পরে হাঁটার অভিযোগ।

গত ১০ অক্টোবর (শুক্রবার) সোনাক্ষী নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ওই ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করেন। সেখানে তিনি লেখেন, “আবুধাবিতেই পেলাম কিছুটা ‘সুকুন’। শেখ জায়েদ মসজিদের সৌন্দর্য আর প্রশান্তিতে বিমুগ্ধ হয়ে নিজের অনুভূতি ভাগ করে নিয়েছিলেন তিনি।

তবে একাধিক ছবি ও ভিডিও দেখে কিছু ব্যবহারকারী মন্তব্য করেন, সোনাক্ষী ও তাঁর স্বামী জহির ইকবাল নাকি মসজিদের ভেতরে জুতা পরে হাঁটছিলেন, যা ইসলামী রীতিনীতি অনুযায়ী সম্পূর্ণ অনুচিত। কেউ কেউ প্রশ্ন তোলেন, ধর্মীয় স্থানে জুতা পরে ঘোরার নিয়ম কখনো ছিল? এরপর থেকেই শুরু হয় সমালোচনার ঝড় ও ট্রল।

অবশেষে সমালোচনার জবাব দেন সোনাক্ষী সিনহা। নিজের অবস্থান পরিষ্কার করে তিনি লেখেন, জুতা পরে ঢুকিনি। নির্দিষ্ট জায়গায় জুতা খুলেই প্রবেশ করেছিলাম। এটুকু বোঝার মতো জ্ঞান আমাদের আছে। হয়ে গেলে ট্রল? এবার নিজের জীবনে ফিরে যান।

এই ঘটনায় অনেকে সোনাক্ষীর পাশে দাঁড়িয়েছেন। একজন লিখেছেন, একই মসজিদে দীপিকা পাড়ুকোন গেলে প্রশংসা, আর সোনাক্ষী গেলে সমালোচনা—দ্বৈত মানসিকতা কেন? কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন, ধর্ম, পোশাক, বিশ্বাস সব কিছু নিয়েই কেন একজন নারীকে বারবার ট্রল করা হয়?

প্রসঙ্গত, সোনাক্ষী সিনহা ও জহির ইকবালের সম্পর্ক এবং তাদের সাম্প্রতিক আন্তঃধর্মীয় বিয়ে নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে। তবে সোনাক্ষী সবসময় বলে এসেছেন, ধর্ম আমাদের মাঝে কখনো বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। আমরা একে অন্যের সংস্কৃতি ও পরিবারকে সম্মান করি। আমাদের সম্পর্কের ভিত্তি পারস্পরিক শ্রদ্ধা।

সোনাক্ষী মসজিদে জুতা পরে প্রবেশ করেছেন কি না, তা নিয়ে শুরু হওয়া বিতর্কে তিনি পরিষ্কারভাবে জানান, ধর্মীয় স্থানে প্রবেশের আগে জুতা খোলার নিয়ম তিনি জানেন এবং মেনেই চলেছেন। তাঁর মতে, মিথ্যা ধারণা ছড়ানো এবং অকারণে ট্রল করা এখন যেন একটি প্রবণতা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

কালিয়াকৈরে ভুল রক্ত পুশে সিজারের রোগীর মৃত্যু

‘জুতা পরে মসজিদে, সোনাক্ষীকে ঘিরে বিতর্ক

আপডেট সময় : ১২:৪৩:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫

আবুধাবির পবিত্র শেখ জায়েদ গ্র্যান্ড মসজিদের শান্ত পরিবেশে হারিয়ে গিয়েছিলেন বলিউড অভিনেত্রী সোনাক্ষী সিনহা। সাদা পোশাক ও মাথায় ওড়না পরা সোনাক্ষীর সেই ছবি এবং ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক মাধ্যমে। যদিও প্রথমে ছবিগুলো ঘিরে প্রশংসার জোয়ার উঠলেও, অল্প সময়ের মধ্যেই তা বিতর্কের কেন্দ্রে পরিণত হয়, কারণ হিসেবে উঠে আসে মসজিদের ভেতরে জুতা পরে হাঁটার অভিযোগ।

গত ১০ অক্টোবর (শুক্রবার) সোনাক্ষী নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ওই ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করেন। সেখানে তিনি লেখেন, “আবুধাবিতেই পেলাম কিছুটা ‘সুকুন’। শেখ জায়েদ মসজিদের সৌন্দর্য আর প্রশান্তিতে বিমুগ্ধ হয়ে নিজের অনুভূতি ভাগ করে নিয়েছিলেন তিনি।

তবে একাধিক ছবি ও ভিডিও দেখে কিছু ব্যবহারকারী মন্তব্য করেন, সোনাক্ষী ও তাঁর স্বামী জহির ইকবাল নাকি মসজিদের ভেতরে জুতা পরে হাঁটছিলেন, যা ইসলামী রীতিনীতি অনুযায়ী সম্পূর্ণ অনুচিত। কেউ কেউ প্রশ্ন তোলেন, ধর্মীয় স্থানে জুতা পরে ঘোরার নিয়ম কখনো ছিল? এরপর থেকেই শুরু হয় সমালোচনার ঝড় ও ট্রল।

অবশেষে সমালোচনার জবাব দেন সোনাক্ষী সিনহা। নিজের অবস্থান পরিষ্কার করে তিনি লেখেন, জুতা পরে ঢুকিনি। নির্দিষ্ট জায়গায় জুতা খুলেই প্রবেশ করেছিলাম। এটুকু বোঝার মতো জ্ঞান আমাদের আছে। হয়ে গেলে ট্রল? এবার নিজের জীবনে ফিরে যান।

এই ঘটনায় অনেকে সোনাক্ষীর পাশে দাঁড়িয়েছেন। একজন লিখেছেন, একই মসজিদে দীপিকা পাড়ুকোন গেলে প্রশংসা, আর সোনাক্ষী গেলে সমালোচনা—দ্বৈত মানসিকতা কেন? কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন, ধর্ম, পোশাক, বিশ্বাস সব কিছু নিয়েই কেন একজন নারীকে বারবার ট্রল করা হয়?

প্রসঙ্গত, সোনাক্ষী সিনহা ও জহির ইকবালের সম্পর্ক এবং তাদের সাম্প্রতিক আন্তঃধর্মীয় বিয়ে নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে। তবে সোনাক্ষী সবসময় বলে এসেছেন, ধর্ম আমাদের মাঝে কখনো বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। আমরা একে অন্যের সংস্কৃতি ও পরিবারকে সম্মান করি। আমাদের সম্পর্কের ভিত্তি পারস্পরিক শ্রদ্ধা।

সোনাক্ষী মসজিদে জুতা পরে প্রবেশ করেছেন কি না, তা নিয়ে শুরু হওয়া বিতর্কে তিনি পরিষ্কারভাবে জানান, ধর্মীয় স্থানে প্রবেশের আগে জুতা খোলার নিয়ম তিনি জানেন এবং মেনেই চলেছেন। তাঁর মতে, মিথ্যা ধারণা ছড়ানো এবং অকারণে ট্রল করা এখন যেন একটি প্রবণতা হয়ে দাঁড়িয়েছে।