ঢাকা ০৪:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১৪ কার্তিক ১৪৩২

কুরআন তালিমে বিএনপির হামলা! সোনাইমুড়ীতে সংবাদ সম্মেলন করে তীব্র প্রতিবাদ মহিলা জামায়াতের

 

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে মহিলা জামায়াতের কুরআন তালিমের প্রোগ্রামে বিএনপি কর্তৃক হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করে উপজেলা জামায়াতের মহিলা বিভাগ।

বুধবার বিকেলে সোনাইমুড়ী প্রেসক্লাবে মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উপজেলার ৯ নং দেওটি ইউনিয়ন মহিলা জামায়াতের সভানেত্রী ফাতেমা বেগম বলেন নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি উপজেলার ৯ নং দেওটি ইউনিয়নে ৮ নং ওয়ার্ডে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মহিলা বিভাগের উদ্যোগে ২৮ অক্টোবর মঙ্গলবার বিকালে কোরআন তালিম প্রোগ্রামে হামলা চালায় বিএনপির অঙ্গ সংগঠন স্বেচ্ছাসেবকদলের নবগঠিত ইউনিয়ন সদস্য মোহাম্মদ রবিন ওরফে রনি, শাহ আলম এবং একই এলাকার মোঃ লিটন সহ অজ্ঞাতরা।
লিখিত বক্তব্যে জামায়াত নেত্রী বলেন
আপনারা জানেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল একটি সুশৃংখল সংগঠন, যার মহিলা বিভাগ সমগ্র বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা, উপজেলা, ইউনিয়নে এবং শহর থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মা বোনদের কোরআন তালিম দিয়ে যাচ্ছেন। যা আমাদের সংগঠনিক কার্যক্রমের চার দফার অন্যতম একটি দফা। যারা কোরআন পড়তে জানে না, তাদেরকে কুরআন পড়া শিখানো, কুরআনের আলোকে নিজের জীবনকে গঠন করার জন্য উদ্বুদ্ধ করা আমাদের নিয়মিত সাংগঠনিক কাজের অংশ।
তারই ধারাবাহিকতায় সোনাইমুড়ী উপজেলার উত্তর দেওটি মাঈন উদ্দিন বেপারি বাড়িতে বাড়ীর মালিকের অনুমতি সাপেক্ষে শান্তিপূর্ণ কোরআন তালিম প্রোগ্রামে আয়োজন করি।
জামায়াতে ইসলামীকে নাম ধরে গালিগালাজ, হামলা ও ভাঙচুর শুরু করে স্থানীয় বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা।
এ সময় দেওটি মাঈন উদ্দিন বেপারি বাড়ির শাহ আলম ও তার ছেলে রবিন হোসেন ওরফে রনি পোগ্রাম স্থলে থাকা চেয়ার ভাঙচুর করে এবং তাদের অনুমতি ছাড়া কেন এখানে প্রোগ্রাম করা হচ্ছে সেজন্য অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।

আপনাদের মাধ্যমে বিশ্ববাসীকে জানাতে চাই যাদের কাছে কুরআনের তালিম প্রোগ্রাম নিরাপদ নয়। তাদের কাছে এ জাতির দায়িত্ব কি আপনারা দিবেন?

আপনারা জানেন জামায়াতে ইসলামী একটি আদর্শিক রাজনৈতিক দল তারা নির্বাচনের জন্য ভোট চাইতে পারবে না, তবে কি আমরা সেই ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের আমলে ফিরে গেলাম যেখানে মানুষের বাক স্বাধীনতা ছিল না,
এই হামলা কি নারীদের গণতান্ত্রিক অধিকার ও শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে নগ্ন হস্তক্ষেপের জঘন্য উদাহরণ নয়। নিরীহ মহিলা কর্মীদের উপর হামলা চালিয়ে বিএনপি প্রমাণ করেছে, তারা গণতন্ত্র ও রাজনৈতিক সহনশীলতার সংস্কৃতি মানতে চায় না।
আমি তাদের এই নগ্ন হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং এই হামলার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার এবং যথোপযুক্ত শাস্তি দাবী করছি।
এ সময় উপজেলা জামাত ইসলামের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

কালিয়াকৈরে তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে লিফলেট বিতরণ

কুরআন তালিমে বিএনপির হামলা! সোনাইমুড়ীতে সংবাদ সম্মেলন করে তীব্র প্রতিবাদ মহিলা জামায়াতের

আপডেট সময় : ০৭:১৯:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫

 

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে মহিলা জামায়াতের কুরআন তালিমের প্রোগ্রামে বিএনপি কর্তৃক হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করে উপজেলা জামায়াতের মহিলা বিভাগ।

বুধবার বিকেলে সোনাইমুড়ী প্রেসক্লাবে মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উপজেলার ৯ নং দেওটি ইউনিয়ন মহিলা জামায়াতের সভানেত্রী ফাতেমা বেগম বলেন নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি উপজেলার ৯ নং দেওটি ইউনিয়নে ৮ নং ওয়ার্ডে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মহিলা বিভাগের উদ্যোগে ২৮ অক্টোবর মঙ্গলবার বিকালে কোরআন তালিম প্রোগ্রামে হামলা চালায় বিএনপির অঙ্গ সংগঠন স্বেচ্ছাসেবকদলের নবগঠিত ইউনিয়ন সদস্য মোহাম্মদ রবিন ওরফে রনি, শাহ আলম এবং একই এলাকার মোঃ লিটন সহ অজ্ঞাতরা।
লিখিত বক্তব্যে জামায়াত নেত্রী বলেন
আপনারা জানেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল একটি সুশৃংখল সংগঠন, যার মহিলা বিভাগ সমগ্র বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা, উপজেলা, ইউনিয়নে এবং শহর থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মা বোনদের কোরআন তালিম দিয়ে যাচ্ছেন। যা আমাদের সংগঠনিক কার্যক্রমের চার দফার অন্যতম একটি দফা। যারা কোরআন পড়তে জানে না, তাদেরকে কুরআন পড়া শিখানো, কুরআনের আলোকে নিজের জীবনকে গঠন করার জন্য উদ্বুদ্ধ করা আমাদের নিয়মিত সাংগঠনিক কাজের অংশ।
তারই ধারাবাহিকতায় সোনাইমুড়ী উপজেলার উত্তর দেওটি মাঈন উদ্দিন বেপারি বাড়িতে বাড়ীর মালিকের অনুমতি সাপেক্ষে শান্তিপূর্ণ কোরআন তালিম প্রোগ্রামে আয়োজন করি।
জামায়াতে ইসলামীকে নাম ধরে গালিগালাজ, হামলা ও ভাঙচুর শুরু করে স্থানীয় বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা।
এ সময় দেওটি মাঈন উদ্দিন বেপারি বাড়ির শাহ আলম ও তার ছেলে রবিন হোসেন ওরফে রনি পোগ্রাম স্থলে থাকা চেয়ার ভাঙচুর করে এবং তাদের অনুমতি ছাড়া কেন এখানে প্রোগ্রাম করা হচ্ছে সেজন্য অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।

আপনাদের মাধ্যমে বিশ্ববাসীকে জানাতে চাই যাদের কাছে কুরআনের তালিম প্রোগ্রাম নিরাপদ নয়। তাদের কাছে এ জাতির দায়িত্ব কি আপনারা দিবেন?

আপনারা জানেন জামায়াতে ইসলামী একটি আদর্শিক রাজনৈতিক দল তারা নির্বাচনের জন্য ভোট চাইতে পারবে না, তবে কি আমরা সেই ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের আমলে ফিরে গেলাম যেখানে মানুষের বাক স্বাধীনতা ছিল না,
এই হামলা কি নারীদের গণতান্ত্রিক অধিকার ও শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে নগ্ন হস্তক্ষেপের জঘন্য উদাহরণ নয়। নিরীহ মহিলা কর্মীদের উপর হামলা চালিয়ে বিএনপি প্রমাণ করেছে, তারা গণতন্ত্র ও রাজনৈতিক সহনশীলতার সংস্কৃতি মানতে চায় না।
আমি তাদের এই নগ্ন হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং এই হামলার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার এবং যথোপযুক্ত শাস্তি দাবী করছি।
এ সময় উপজেলা জামাত ইসলামের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।