ঢাকা ০৯:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫, ১৭ কার্তিক ১৪৩২

ঢালিউড কিংবদন্তি সালমান শাহর হত্যায় উঠে আসল ডনের নাম

ঢালিউডের কিংবদন্তি নায়ক সালমান শাহ ও খল অভিনেতা আশরাফুল হক ডন শুধু সহকর্মী ছিলেন না, ছিলেন ঘনিষ্ঠ বন্ধু। এবার সেই বন্ধুত্ব ও পুরনো স্মৃতির কথা জানিয়েছেন সালমান শাহর আরেক বন্ধু, অভিনেতা সাইফুল।

এক সাক্ষাৎকারে সাইফুল বলেন, সালমান শাহর মৃত্যুর খবর প্রথম পান অভিনেতা হেলাল খানের কাছ থেকে। তখন তিনি কলকাতায় শুটিং করছিলেন। খবর শুনে বিশ্বাস করতে পারেননি। পরে স্বপন সাহাকে ফোন করে নিশ্চিত হন।

সাইফুল বলেন, “সালমান আত্মহত্যা করেছে—এটা আমি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারিনি। ওর আত্মহত্যা করার কোনো কারণই ছিল না। হ্যান্ডসাম, সফল এবং সুখী এমন একজন ছেলে কেন এমন করবে?”

তিনি আরও জানান, ২৯ বছর পর যা শুনছেন, তা আরও অবিশ্বাস্য। শুনেছেন, সালমানকে হত্যা করা হয়েছে  এবং এতে তার বন্ধু ডনের নাম জড়িত। যে ছেলেটাকে সালমান সবচেয়ে বেশি বিশ্বাস করত, সে যদি এমন কিছু করে, তাহলে ‘বন্ধুত্ব’ শব্দটিও অর্থহীন হয়ে যায়।

সাইফুল স্মৃতিচারণ করে বলেন, “স্নেহ ছবির শুটিং চলছিল। আমরা সবাই একসঙ্গে খেতে বসেছি, কিন্তু সালমান বসে না। বলল, ডন আসুক তারপর খাবো। ডন কাকরাইলে ছিল। সে আসার পরই সালমান খেতে বসে। শুধু খাওয়া নয় খেলা, গান, আড্ডা সবকিছুতেই ডন ছাড়া কিছু করতো না। এমন বন্ধুর কাছ থেকে এমন কাজ সত্যিই মেনে নেওয়া যায় না।”

শেষে তিনি বলেন, সালমান হত্যার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত। শুধু আইনের নয়, ইন্ডাস্ট্রির মানুষকেও তাদের বয়কট করা উচিত। কারণ, যদি সালমান আজ বেঁচে থাকতেন, ইন্ডাস্ট্রির বর্তমান অবস্থা অন্যরকম হতো।

উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ইস্কাটনে নিজের ফ্ল্যাটে মারা যান ঢালিউডের ‘স্বপ্নের নায়ক’ সালমান শাহ। স্ত্রী সামিরা হক তার মৃত্যু আত্মহত্যা বলে দাবি করেছিলেন, তবে পরিবার বরাবরই বলেছে, এটি পরিকল্পিত হত্যা।

২৯ বছর পর সেই মৃত্যুর মামলাটি এখন হত্যা মামলায় রূপ নিয়েছে। এতে মোট ১১ জনকে আসামি করা হয়েছে, যার মধ্যে চতুর্থ আসামি হিসেবে আছেন সালমানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু আশরাফুল হক ডন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ঢালিউড কিংবদন্তি সালমান শাহর হত্যায় উঠে আসল ডনের নাম

আপডেট সময় : ০২:২২:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ নভেম্বর ২০২৫

ঢালিউডের কিংবদন্তি নায়ক সালমান শাহ ও খল অভিনেতা আশরাফুল হক ডন শুধু সহকর্মী ছিলেন না, ছিলেন ঘনিষ্ঠ বন্ধু। এবার সেই বন্ধুত্ব ও পুরনো স্মৃতির কথা জানিয়েছেন সালমান শাহর আরেক বন্ধু, অভিনেতা সাইফুল।

এক সাক্ষাৎকারে সাইফুল বলেন, সালমান শাহর মৃত্যুর খবর প্রথম পান অভিনেতা হেলাল খানের কাছ থেকে। তখন তিনি কলকাতায় শুটিং করছিলেন। খবর শুনে বিশ্বাস করতে পারেননি। পরে স্বপন সাহাকে ফোন করে নিশ্চিত হন।

সাইফুল বলেন, “সালমান আত্মহত্যা করেছে—এটা আমি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারিনি। ওর আত্মহত্যা করার কোনো কারণই ছিল না। হ্যান্ডসাম, সফল এবং সুখী এমন একজন ছেলে কেন এমন করবে?”

তিনি আরও জানান, ২৯ বছর পর যা শুনছেন, তা আরও অবিশ্বাস্য। শুনেছেন, সালমানকে হত্যা করা হয়েছে  এবং এতে তার বন্ধু ডনের নাম জড়িত। যে ছেলেটাকে সালমান সবচেয়ে বেশি বিশ্বাস করত, সে যদি এমন কিছু করে, তাহলে ‘বন্ধুত্ব’ শব্দটিও অর্থহীন হয়ে যায়।

সাইফুল স্মৃতিচারণ করে বলেন, “স্নেহ ছবির শুটিং চলছিল। আমরা সবাই একসঙ্গে খেতে বসেছি, কিন্তু সালমান বসে না। বলল, ডন আসুক তারপর খাবো। ডন কাকরাইলে ছিল। সে আসার পরই সালমান খেতে বসে। শুধু খাওয়া নয় খেলা, গান, আড্ডা সবকিছুতেই ডন ছাড়া কিছু করতো না। এমন বন্ধুর কাছ থেকে এমন কাজ সত্যিই মেনে নেওয়া যায় না।”

শেষে তিনি বলেন, সালমান হত্যার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত। শুধু আইনের নয়, ইন্ডাস্ট্রির মানুষকেও তাদের বয়কট করা উচিত। কারণ, যদি সালমান আজ বেঁচে থাকতেন, ইন্ডাস্ট্রির বর্তমান অবস্থা অন্যরকম হতো।

উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ইস্কাটনে নিজের ফ্ল্যাটে মারা যান ঢালিউডের ‘স্বপ্নের নায়ক’ সালমান শাহ। স্ত্রী সামিরা হক তার মৃত্যু আত্মহত্যা বলে দাবি করেছিলেন, তবে পরিবার বরাবরই বলেছে, এটি পরিকল্পিত হত্যা।

২৯ বছর পর সেই মৃত্যুর মামলাটি এখন হত্যা মামলায় রূপ নিয়েছে। এতে মোট ১১ জনকে আসামি করা হয়েছে, যার মধ্যে চতুর্থ আসামি হিসেবে আছেন সালমানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু আশরাফুল হক ডন।