ঢাকা ০৫:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫, ৭ কার্তিক ১৪৩২

ভূমিকম্পে কাঁপলো পাকিস্তান, উৎপত্তি হিন্দুকুশ অঞ্চলে

ছবি : সংগৃহীত

পাকিস্তানে আবারও ভূমিকম্প। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) রাতে ৫ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠে রাজধানী ইসলামাবাদসহ খাইবার পাখতুনখোয়া, আজাদ কাশ্মীর ও আশপাশের বিভিন্ন অঞ্চল। রাতের এই ভূকম্পনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে স্থানীয়দের মাঝে। আফটারশকের আশঙ্কায় অনেকে তড়িঘড়ি করে বাড়িঘর ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসেন। যদিও পরবর্তীতে আর বড় কোনো কম্পন অনুভূত হয়নি।

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ পার্বত্য এলাকায়, ভূপৃষ্ঠের ২৩৪ কিলোমিটার গভীরে। পাকিস্তানের আবহাওয়া অধিদপ্তরের (পিএমডি) অধীনস্থ ন্যাশনাল সিসমিক মনিটরিং সেন্টার এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পটি পাঞ্জাবের রাওয়ালপিন্ডি, ইসলামাবাদ, পেশোয়ার, আপার দির, মালাকান্ড, বাজাউর, চিত্রাল, মুরি, আজাদ কাশ্মীরের সামাহনি, ভিমবেরসহ একাধিক অঞ্চলে অনুভূত হয়। তবে এ পর্যন্ত কোনো প্রাণহানি বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানে ভূমিকম্প একটি নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে। মাত্র চার দিন আগেই দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে ৫.৬ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। ইসলামাবাদ, খাইবার পাখতুনখোয়া ও সংলগ্ন এলাকাগুলোতে সে সময়ও কম্পন অনুভূত হয়।

এর আগে, গত সেপ্টেম্বর মাসে আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলে আঘাত হানা ভয়াবহ ৬ মাত্রার ভূমিকম্পে ২,২০০ জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারান। এতে পার্শ্ববর্তী পাকিস্তানেও ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং পরবর্তী দিনগুলোতে ইসলামাবাদ, রাওয়ালপিন্ডি, পেশোয়ার, মারদান, চিত্রাল, মুরি, এমনকি লাহোর পর্যন্ত কম্পন অনুভূত হয়।

এছাড়া, জুন মাসে করাচিতেও একাধিক ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এক মাসে কম্পনের সংখ্যা পৌঁছায় অন্তত ৫৭টিতে।

প্রধান আবহাওয়াবিদ আমির হায়দার জানিয়েছেন, লান্দি ফল্ট লাইন নামক একটি ভূতাত্ত্বিক দুর্বল রেখা কয়েক দশক পর পুনরায় সক্রিয় হয়ে উঠেছে। ফলে এসব ভূমিকম্পের ঘটনা ঘটছে বলে তিনি ব্যাখ্যা করেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

কালিয়াকৈরে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস পালিত

ভূমিকম্পে কাঁপলো পাকিস্তান, উৎপত্তি হিন্দুকুশ অঞ্চলে

আপডেট সময় : ০১:২৩:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫

পাকিস্তানে আবারও ভূমিকম্প। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) রাতে ৫ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠে রাজধানী ইসলামাবাদসহ খাইবার পাখতুনখোয়া, আজাদ কাশ্মীর ও আশপাশের বিভিন্ন অঞ্চল। রাতের এই ভূকম্পনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে স্থানীয়দের মাঝে। আফটারশকের আশঙ্কায় অনেকে তড়িঘড়ি করে বাড়িঘর ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসেন। যদিও পরবর্তীতে আর বড় কোনো কম্পন অনুভূত হয়নি।

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ পার্বত্য এলাকায়, ভূপৃষ্ঠের ২৩৪ কিলোমিটার গভীরে। পাকিস্তানের আবহাওয়া অধিদপ্তরের (পিএমডি) অধীনস্থ ন্যাশনাল সিসমিক মনিটরিং সেন্টার এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পটি পাঞ্জাবের রাওয়ালপিন্ডি, ইসলামাবাদ, পেশোয়ার, আপার দির, মালাকান্ড, বাজাউর, চিত্রাল, মুরি, আজাদ কাশ্মীরের সামাহনি, ভিমবেরসহ একাধিক অঞ্চলে অনুভূত হয়। তবে এ পর্যন্ত কোনো প্রাণহানি বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানে ভূমিকম্প একটি নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে। মাত্র চার দিন আগেই দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে ৫.৬ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। ইসলামাবাদ, খাইবার পাখতুনখোয়া ও সংলগ্ন এলাকাগুলোতে সে সময়ও কম্পন অনুভূত হয়।

এর আগে, গত সেপ্টেম্বর মাসে আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলে আঘাত হানা ভয়াবহ ৬ মাত্রার ভূমিকম্পে ২,২০০ জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারান। এতে পার্শ্ববর্তী পাকিস্তানেও ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং পরবর্তী দিনগুলোতে ইসলামাবাদ, রাওয়ালপিন্ডি, পেশোয়ার, মারদান, চিত্রাল, মুরি, এমনকি লাহোর পর্যন্ত কম্পন অনুভূত হয়।

এছাড়া, জুন মাসে করাচিতেও একাধিক ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এক মাসে কম্পনের সংখ্যা পৌঁছায় অন্তত ৫৭টিতে।

প্রধান আবহাওয়াবিদ আমির হায়দার জানিয়েছেন, লান্দি ফল্ট লাইন নামক একটি ভূতাত্ত্বিক দুর্বল রেখা কয়েক দশক পর পুনরায় সক্রিয় হয়ে উঠেছে। ফলে এসব ভূমিকম্পের ঘটনা ঘটছে বলে তিনি ব্যাখ্যা করেন।